ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

করোনায় ভালো নেই পশ্চিমবঙ্গের মৌ-চাষিরা, বাড়বে মধুর দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০
করোনায় ভালো নেই পশ্চিমবঙ্গের মৌ-চাষিরা, বাড়বে মধুর দাম মৌ-বাক্স।

কলকাতা: চলতি বছর দীর্ঘ লকডাউন ও আম্পানের কারণে পশ্চিমবঙ্গে মধুর উৎপাদন অনেকটাই কমে গেছে। ব্যাপক আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন রাজ্যের মৌ-চাষিরা।

তবে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও মৌমাছিদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য গত এপ্রিল মাস থেকে কেজি কেজি চিনির পানি খাইয়ে হচ্ছেন চাষিরা। কারণ, মৌমাছিকে পর্যাপ্ত খাবার না দিলে তারা চাষের বাক্স থেকে উড়ে যায়।

অনেক দুস্থ মৌ চাষি চিনির জোগানই করতে না পারায় এর মধ্যে বাক্স থেকে মৌমাছি উড়ে গেছে। এমনকি, আম্পানের কারণে গাছ পড়ে অনেক মৌমাছি ভর্তি বাক্স নষ্ট হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্যে কয়েক হাজার মৌ-চাষি সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তারা ভালো নেই।

উত্তর ২৪পরগনা জেলা সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাস থেকে মধুর উৎপাদন শুরু হয়। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে সব থেকে বেশি মধু পাওয়া যায়। কিন্তু, এ বছর মার্চের শেষ থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন মৌ-চাষিরা।

কারণ, মৌ-চাষিরা কোনো এলাকায় কী ফসল হচ্ছে জানার পর মৌমাছির বাক্স নিয়ে সেইসব এলাকায় পৌঁছে যেতেন। ওই বাক্স কয়েক মাস বসিয়ে রাখার পর তাতে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে জমা করতো। সেই মধু বিভিন্ন হাত ঘুরে নামিদামি সংস্থার কাছে পৌঁছে যেতো। কিন্তু, এবার লকডাউনের ফলে মৌ-চাষিরা বাড়ি থেকেই বের হতে পারেননি। যদিওবা বের হয়েছিলেন বহু জায়গায় করোনার কারণে স্থানীয়দের বাধায় ফিরে আসতে হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনের জঙ্গল থেকেও বহু মানুষ মধু সংগ্রহ করেন। এবছর সুন্দরবনেও পৌঁছানোও সম্ভব হয়নি।

রাজ্য সরকারের তথ্য বলছে, গত বছর প্রায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৬ হাজার টন মধু কিনেছিল বিভিন্ন সংস্থা। এ বছর এখনও অব্দি মধু বিক্রি হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার টন। বাকি প্রায় পাঁচ হাজার টন মধু মজুদ আছে। এ পরিস্থিতিতে মার্চের শেষ থেকেই সেভাবে মধু সংগ্রহ করতে পারেননি মৌ-চাষিরা। সেই কারণে মধুর দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।