ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

শপথ নিয়েই করোনা মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ মমতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২১
শপথ নিয়েই করোনা মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ মমতার

কলকাতা: টানা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই করোনা মোকাবিলায় কঠোর সিদ্ধান্ত জানালেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের বুধবার (৫ মে) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাত থেকেই রাজ্যের সব লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হবে। মেট্রো ও রাজ্য পরিবহন ৫০ শতাংশ চলবে। দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও প্লেন মারফত রাজ্যে ঢুকতে গেলেই লাগবে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট। প্লেনযাত্রীদের আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। এয়ারপোর্টে চলবে নজরদারি। করোনা শনাক্ত ধরা পড়লে তাদের সেফ জোনে পাঠানোর দায়িত্ব এয়াপোর্ট কতৃপক্ষকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, সবাইকে বিনামূল্যে টিকাকরণ করানো হবে। রাজ্যের হাতে এখন যা টিকা রয়েছে, তা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণে জোর দেবো। প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। রাজ্যে ৩০ হাজার করোনা বেড বাড়ানো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আরও তিন হাজার বেড বাড়ানো হবে।

‘অক্সিজেন সরবরাহে দ্রুত ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র। রাজ্যের তৈরি অক্সিজেন ভিন রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। আমরা ইন্ড্রাস্টিয়ালের কাছেও অক্সিজেন চেয়েছি। এখন করোনা মোকাবিলায় অগ্রাধিকার দিয়ে হাসপাতালগুলোতে ক্রিটিক্যাল ইউনিট বেড বাড়ানো হয়েছে। ’

এছাড়া তিনি বলেন, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। না হলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
‘সরকারি-বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করবো কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দিন। ’

এছাড়া শপিংমল, জিম, রেস্তোরাঁ, বার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সব জমায়েত বন্ধ থাকবে। পূর্ব নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৭-১০টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা দোকান, বাজার খোলা থাকবে। তবে সব সময় খোলা অত্যাবশকীয় পণ্য বাজার, ওষুধ ও মুদির দোকান। গয়নার দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। সামাজিক দূরত্ব মেনেই বাজার, দোকান খুলতে হবে।

করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ফেলে রাখা চলবে না, হাসপাতালগুলোকে দেওয়া হবে নির্দেশ।

নবান্নে আসার আগে রাজভবনে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কোভিড মোকাবিলা এবং ভোটের হিংসা আপাতত দু’টি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্ব দেবেন তিনি। নবান্নে পৌঁছালে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপরই করোনা মোকাবিলার একাধিক সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২১
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।