কলকাতা: ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি- এমন সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের। এ পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৭ জুন) করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন মোদী ঘোষণা করেন, আগামী ২১ জুন অর্থাৎ বিশ্ব যোগ দিবস থেকে বিনামূল্যে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ চালু হবে।
পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে আমরা বহু মানুষকে হারিয়েছি। দেশ পরিবারগুলোর পাশে আছে। করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেন চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। এখন দেশে অক্সিজেন উৎপাদন অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। বিদেশ থেকেও প্রচুর ওষুধ আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি জরুরিভিত্তিতে টিকাকরণও চলছে। এক বছরে ভারতে ২৩ কোটির বেশি ভ্যাকসিনেশন হয়েছে।
এরপরই তিনি বলেন, ভারতের ৭৫ শতাংশ ১৮ ঊর্ধ্ব নাগরিক বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবে। যা ব্যয় করবে কেন্দ্র সরকার। এর কোনো খরচ রাজ্যগুলোকে করতে হবে না। এছাড়া ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিন বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে দেওয়া হবে। যার প্রতিটি ডোজের আর্থিক মূল্য হবে ১৫০ রুপি। কালোবাজারি যাতে না হয় তা লক্ষ্য রাখবে রাজ্যগুলো।
অপরদিকে, ভারতে মূলত ব্যবহৃত হচ্ছে তিনটি ভ্যাকসিন। বায়োটেকের তৈরি- কোভ্যাক্সিন, অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড এবং রাশিয়ার স্পুটনিক ভি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের পূর্বাভাস, আসন্ন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বিপন্ন হতে পারে শিশুরাও।
সব দিক বিচার করে ৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যেই এই তিন ধরনের টিকা প্রয়োগের অনুমতি হয়েছে। ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে এই মুহূর্তে কোভ্যাক্সিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)। এর আগে শিশুদের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ১৩ মে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারত সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
ভিএস/এএ