কলকাতা: করোনার কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুন) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ঘোষণা দেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, জনমতকে গুরুত্ব দিয়েই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক এ বছর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে হবে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে, তা সাতদিনের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।
রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে এ বছর ২১ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতেন। মুলত শিক্ষার্থীদের জীবনে দুই পরীক্ষাই বড়ো পরীক্ষা। ফলে এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই শিক্ষাপর্ষদের মধ্যে বৈঠক চলছিল। তাদের একাংশের মত ছিল অনলাইনে কোনোভাবে পরীক্ষাটা নেওয়া।
তবে অনলাইনে এ ধরনের পরীক্ষা নেওয়ার পরিকাঠামোর অভাবের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সায় ছিল পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা কমিয়ে দেড় ঘণ্টা করার। তবে শিক্ষাপর্ষদের একাংশর মত ছিল জীবনের এতবড় পরীক্ষায় সামিল হয় অবিভাবকারও। ফলে পরীক্ষার দিনগুলোয় শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে পথে নামবে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। যা করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আরও মহামারি আকার ধারণ করবে।
এরপরই চলমান সময়ে পরীক্ষা নেওয়া উচিত কি অনুচিত তা নিয়ে রাজ্যবাসীর মত জানতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবার দুপুর দুটোর মধ্যে নির্দিষ্ট মেল আইডিতে মতামত পাঠানোর কথা বলা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল পর্যন্ত ইমেল এসেছে ৩৪ হাজারের বেশি। তাতে মাধ্যমিক না হওয়ার পক্ষে সাধারণ রাজ্যবাসী মত দিয়েছেন ৭৯ শতাংশ মানুষ। উচ্চমাধ্যমিক না হওয়ার পক্ষে মত পড়েছে ৮৩ শতাংশ।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সোমবার পরীক্ষা না হওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। তবে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেদিকে যেনো খেয়াল রাখা হয়। এর সঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকারের বোর্ড এবং ভারতের বাকি বোর্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীরা যাতে নতুন ক্লাস শুরু করতে পারে তার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
ভিএস/এনটি