কলকাতা: ফের বিতর্কে জড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার সরাসরি শিক্ষার্থীদের মাওবাদী তাকমা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, সম্প্রতি একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন উপাচার্য। সেই বৈঠকে সাসপেনশনের বিরোধিতায় আন্দোলনে বসা বিশ্বভারতীয় তিন শিক্ষার্থীকে মাওবাদী বলে সম্বোধন করেন তিনি। এর পাশাপাশি জানা গেছে সেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবারের বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে উপাচার্যের পদ থেকে সরানো হবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের সেই বিতর্কিত অডিও টেপ। যদিও ওই টেপের সত্যতা যাচাই করেনি বাংলানিউজ। তবে সেই অডিও যদি সত্যি হয় তাহলে একজন উপাচার্য কীভাবে শিক্ষার্থীদের মাওইস্ট বলে আখ্যা দিতে পারেন? তা নিয়ে শিক্ষামহলে প্রশ্ন ওঠেছে।
তবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর আচার্য অর্থাৎ ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্বভারতী ছাত্র ঐক্য মঞ্চ।
অবশ্য এর আগেও ‘চোরদের আড্ডার জায়গা হয়ে গেছে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতী বন্ধ করে দেব। ’ এমন এক অডিও টেপ বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিশ্বভারতী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এমনকী ওই অডিও ক্লিপে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের তিনি কটূক্তি করেছেন বলে অভিযোগ এসেছিল।
গত ১৫ মার্চ ওই অডিও ক্লিপে উপাচার্যকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘বিশ্বভারতী যাতে বন্ধ হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা আমি করে দিয়ে যাব। আমি কাউকে ধমকি দিচ্ছি না। ’ এর পাশাপাশি ওই অডিও ক্লিপে উপাচার্যকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘বিশ্বভারতী চোর-ডাকাতের আড্ডা হয়ে গেছে। নাইলে অনুব্রত মণ্ডল আমাকে পাগল বলতে পারে। আর আপনারা সেটা মেনে নেন। ’ প্রসঙ্গত অনুব্রত মণ্ডল হলেন বীরভুমের তৃণমুর নেতা। যার সঙ্গে বিশ্বভারতীর পাঁচিল দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ চলছিল।
এর সঙ্গে উপাচার্য সেদিন বলেছিলেন, ‘আমি আসার পর থেকেই সেই সব চোর-ডাকাতদের ধরছি। তাই অনেকের এত অসুবিধা হচ্ছে। সে কারণেই তার বিরুদ্ধে সবাই চক্রান্ত করছেন। তবে আমাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২১
ভিএস/আরবি