ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মমতার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর হুঁশিয়ারি বিজেপি সভাপতির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১
মমতার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর হুঁশিয়ারি বিজেপি সভাপতির

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বাকি কেন্দ্রগুলো ছেড়ে শুধু মমতার কেন্দ্র অর্থাৎ দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে, নির্বাচন কমিশন কেনো উপনির্বাচন করাচ্ছে, তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  

তবে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে অখুশি হলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি।



দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে কোনো বড় নামকেই প্রার্থী করবে বিজেপি।

ফলে ভবানীপুর মমতার নিজের ঘর হলেও নন্দীগ্রামের মতো এই কেন্দ্রেও বিজেপি তাকে কড়া পরীক্ষার মুখে ফেলতে চায়-এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী তো নন্দীগ্রামে হেরে গেছেন। উনি (মমতা) যেহেতু নিজে প্রার্থী, তাই তার বিরুদ্ধে আমরাও বড় কোনো নামকেই ভবানীপুরে প্রার্থী করবো। ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই আমরা সর্বশক্তি দিয়েই ঝাঁপাবো। ভবানীপুরেও লড়াই সমানে সমানে হবে। দল এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবো।  

বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের ভোট নিয়ে আগামী সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।

মূলত পশ্চিমবঙ্গের একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের বদলে নির্বাচন হয়েছিল ২৯২টি আসনে। ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে দুই প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন হয়নি।  

৭ কেন্দ্রে ভোট বাকি থাকলেও আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এই তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ভোটের ফল ঘোষণা ৩ অক্টোবর। গতকালই ভোটের তফসিল ঘোষণার পরই একাধিক নিয়ম জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

বলা হয়েছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর। কোনো প্রার্থী চাইলে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন তুলে নিতে পারেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় কোনও মিছিল করা যাবে না। প্রার্থীরা ভোট প্রচারে কোনো রোড-শো করতে পারবেন না। ৫০ জনের বেশি লোক নিয়ে পথসভা করা যাবে না।

প্রার্থীসহ ৫ জন বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে পারবেন। গোটা ভোট প্রক্রিয়ায় যাতে করোনাবিধি লঙ্ঘন না হয়, সেজন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ প্রধান এবং স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের জন্য করোনা টিকার দুটি ডোজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।