কলকাতা: ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে রেশন সামগ্রী। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) থেকে পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়ে গেল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প।
এদিন বিকেলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেছেন, ‘ভারতের উন্নয়নে পশ্চিমবাংলাই মডেল। বাংলার প্রকল্প নকল করে অন্য রাজ্যগুলো। বাংলার সরকার মানবিক সরকার। দুয়ারে রেশন আমাদের গর্ব। বাড়িতে বসেই রেশন পাবেন বাংলার ১০ কোটি মানুষ। ’ কীভাবে এই রেশন বণ্টন করা হবে? ডিলাররাই কিভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সামগ্রী পৌঁছে দেবেন? এদিন তা নিয়ে বিস্তারিত জানান মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু এই প্রকল্পের ঘোষণাই নয়, এদিন একটি অ্যাপ ও হোয়ায়ট অ্যাপ নম্বরও চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারা রেশন পেলেন, কারা পেলেন না, রেশনে দেওয়া সামগ্রীর মান কেমন, এই সংক্রান্ত যাবতীয় অভাব-অভিযোগ অ্যাপে এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সরাসরি রাজ্য সরকারকে জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী।
তথ্য মতে, বাংলায় ১১ কোটি বসবাসকারীর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনকোটি মানুষের রেশন কার্ড ভিন রাজ্যের। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারও এই রেশন নিয়ে আরও একটি প্রকল্প সামনে আনছে। ‘এক দেশ এক কার্ড’ অর্থাৎ যে যেই রাজ্যেই থাকুক না কেনও, সে সেখান থেকে রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে সেই কার্ড অন্য কোনো রাজ্যে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে যাদের রেশন কার্ড আছে তারই এই প্রকল্পের আওতায় পড়বে। মূলত, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের ভর্তুকির দ্বারাই রেশন সিস্টেম চলে ভারতে। তবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প বাংলাতেই প্রথম চালু হলো।
এবারে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে যেসব ইস্যু ছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। অর্থাৎ রেশন নিতে আর দোকানে লাইন দিতে হবে না।
রেশনের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে প্রাপকের বাড়ির দোরগোড়ায়। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে থাকা ১০ লাখ রুপির ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’ ও স্বনির্ভর নয় নারীদের প্রতিমাসে ৫শ রুপির ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়ে গেছে। এবার চালু হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘দুয়ারে রেশন’।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
ভিএস/এএটি