আগরতলা (ত্রিপুরা): বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ছে। বিশেষ করে গত তিন বছরে এই বাণিজ্য বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় মূলত আমদানি করা হয় বিভিন্ন প্রকারের মাছ, ভাঙা পাথর, সিমেন্ট, সিরামিক টাইলস, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের দরজা-জানালা, কাঠ ও ধাতব আসবাব, ব্যাটারি, ঠাণ্ডা পানীয়, ইট ভাঙার মেশিন, তাঁতের শাড়ী, মেলামাইন সামগ্রী, প্লাস্টিক সিট ইত্যাদি। অপরদিকে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি হয় কাগজ, কলা, আনারস, শুকনা মাছ ইত্যাদি।
টিংকু রায় বলেন, বর্তমানে ত্রিপুরায় বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা এবং কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ায় রপ্তানির পরিমাণও বেড়েছে। আগামীতে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও বহুগুণ বাড়বে। বিশেষ করে দক্ষিণ জেলার সাব্রুমের ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে নবনির্মিত মৈত্রী সেতু চালু হলে।
তিনি জানান, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ রপ্তানি করার মত বেশকিছু পণ্য সামগ্রী রয়েছে এগুলি এখন পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। মূলত এসব পণ্য ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ রপ্তানির অনুমোদন না থাকায়। এজন্য ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। একই বিষয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যেও আলোচনা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আলোচনার মধ্য দিয়ে এ বাধা উঠে যাবে। আর তখন আরও বেশি পণ্য রপ্তানি সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের মোট ৬টি স্থল শুল্ক স্টেশন রয়েছে। এগুলো হল আগরতলার আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি), সিপাহীজলা জেলার শ্রীমন্তপুর ইন্টিগ্রটেড ডেভলপমেন্ট কমপ্লেক্স, খোয়াই জেলার খোয়াইঘাট ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন, উত্তর জেলার ওল্ড রাঘনা বাজার ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন, ঊনকোটি জেলার মনুঘাট ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন ও দক্ষিণ জেলার বিলোনীয়ার মুহুরীঘাট ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর, ২০২১
এসসিএন/এমএমজেড