কলকাতা: করোনাকালীন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে আগেই শুরু হয়েছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেনির শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল। এবার শুরু হয়েছে শিশু শ্রেনি থেকে সপ্তম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’।
পাড়ার শিক্ষালায়ে পাঠদানের কর্মসূচি কীভাবে চলবে তার একটি নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, অনেকটা শান্তি নিকেতনের আদলে পঠন-পাঠন চলবে। অর্থাৎ খোলা জায়গা, পার্ক বা খেলার মাঠে। শারীরিক দূরত্ব মেনে বসাতে হবে শিক্ষার্থীদের। আপাতত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখার জন্য কাগজেই নাম নথিভুক্ত করা হবে। জোর দিতে হবে ‘জয়ফুল লার্নিংয়ে'। অর্থাৎ সিলেবাসের পঠন-পাঠন হবে খেলার ছলে।
দৈনিক দুটি ধাপের পঠন-পাঠন হবে। দুই ঘণ্টা ধরে চলবে প্রতি ধাপ। প্রথম ধাপের দুই ঘণ্টা পড়াশুনা চলবে শিশু থেকে চতুর্থ শ্রেনি। পরের ধাপে হবে চলবে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির। এছাড়া স্কুলের মতই পাড়ার শিক্ষালয়ে ব্যবস্থা রাখতে হবে ‘মিড-ডে-মিল’র, অর্থাৎ মধ্যাহ্ণ ভোজনের। এসব কাজ করবে ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এবং ব্যুরো অফিস।
করোনার কারণে প্রায় দু’বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই স্কুলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেনির ক্লাস শুরু হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলেই চলছে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ।
অপরদিকে শিশু থেকে সপ্তম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের টিকাকরণের আওয়াতায় আনা যায়নি। দিনের পর দিন স্কুলজীবন থেকে দূরে থেকে তাদের লেখাপড়ার ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক বিকাশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তাদের জন্যই তাই পাড়ায় শিক্ষালয় উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, এভাবে পঠন-পাঠনে বেশিরভাগ অভিভাবকের অভিযোগ, এ পদ্ধতিতে খোল মাঠের বদলে স্কুলেই ব্যবস্থা করা হোক। ফাঁকা মাঠে যেমনি ধুলোবালির সমস্যা আছে তেমনি শিক্ষার্থীদের শৌচালয়ের সমস্যা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
ভিএস/এএটি