ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ভারতের উত্তরপ্রদেশে চলছে প্রথম ধাপের বিধানসভা ভোট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
ভারতের উত্তরপ্রদেশে চলছে প্রথম ধাপের বিধানসভা ভোট

কলকাতা: ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। যা সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ওই রাজ্যের পশ্চিম পাশের ১১ জেলার ৫৮ কেন্দ্রে শাসক-বিরোধীদল মিলিয়ে ৬২৩ জন প্রার্থী ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রধম ধাপে ভোট দিচ্ছেন ২ কোটি ২৭ লাখেরও বেশি ভোটার।

উত্তরপ্রদেশে ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। এবারে বিধানসভা নির্বাচন হবে সাত ধাপে। এদিন বাদে ভোট হবে ১৪, ২০, ২৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ ও ৭ মার্চ। প্রথম ধাপে রাজ্যটিতে জাঠ অধ্যুষিত (জাঠ সম্প্রদায়) এলাকাগুলোতে ভোট হবে। এবারে বিজেপির কাছে উত্তরপ্রদেশের এ ধাপের নির্বাচন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এ অঞ্চল কৃষিভিত্তিক। এ কেন্দ্রগুলোর জাঠ সম্প্রদায়ের লোকজনই গত বছর দিল্লিতে মোদী সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।

সেই কারণেই এবারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এ ১১ জেলার ৫৮ কেন্দ্রে মরণপণ ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে প্রচারে মোদী সরকারের বাতিল হওয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এ জেলাগুলোর মানুষজনের চরম ক্ষোভকে কাজে লাগাতে চেষ্টার কসুর করেনি বিরোধীরাও। আগাগোড়া প্রচারে কেন্দ্র সরকারকে বিঁধে ঝড় তুলেছিলেন বিরোধী নেতারা। বিরোধী দলগুলোর আশা, কৃষি আইন বাতিল হলেও কেন্দ্র সরকার বিরোধী একটানা আন্দোলনের প্রভাব পড়বে ভোটবাক্সেও।

উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ভোটের ময়দানে থাকলেও বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল সমাজবাদী পার্টি। যার প্রধান অভিলেশ যাদব। মমতা দল তৃণমূল কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির হয়ে আসন ভাগাভাগি করতে চাইলেও সায় পায়নি অখিলেশের। পরে অখিলেশের হয়ে শুধুমাত্র প্রচার করতে পেরেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটুকুতেই তুষ্ট থাকতে হয়েছে মমতার দলকে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে একে অপরের সঙ্গে এক প্রকার সামঝোতা করছে মমতা-অভিলেশ। তবে মমতাকে উত্তরপ্রদেশে কাজে লাগানোর অন্য কারণ হচ্ছে সে অঞ্চলের বাঙালি ভোটব্যাঙ্ক যাতে বিজেপির বাক্সে না যায়, এমনটাও মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখযোগ্যভাবে উত্তরপ্রদেশের এ প্রথম ধাপের ভোটে যোগি আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকারের নয় মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন যোগি সরকারের মন্ত্রী সুরেশ রানা, অতুল গর্গ, শ্রীকান্ত শর্মা, সন্দীপ সিং, অনিল শর্মা, কপিল দেব আগরওয়াল, দীনেশ খটিক, ডা. জি এস ধর্মেশ ও চৌধুরী লক্ষ্মী নারাইন।

এদিন সকালে উত্তরপ্রদেশের ভোটারদের গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে মোদী লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। আমি সব ভোটারদের কোভিডের নিয়ম মেনে গণতন্ত্রের এ পবিত্র উৎসবের সঙ্গে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি। মনে রাখবেন– আগে ভোট দিন, তারপর জলখাবার!

বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে শামলি, হাপুর, গৌতম বুদ্ধ নগর, মুজাফফরনগর, মিরাট, বাগপত, গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর, আলিগড়, মথুরা ও আগ্রা জেলায় ভোট হচ্ছে। ২০১৭ সালে অর্থাৎ গত নির্বাচনে বিজেপি এ ১১ জেলার ৫৮টি আসনের মধ্যে ৫৩টিতে জিতেছিল। এছাড়া সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি দুটি করে আসনে জয়লাভ করেছিল। অন্যদিকে একটি আসন পেয়েছিল আরএলডি। তবে এবারে পরিস্থিতি ভিন্ন। শেষ কথা বলবে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। তা জানা যাবে ১০ মার্চ ফল ঘোষণার দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।