কলকাতা: ভারতের গোয়া রাজ্যে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তি পরীক্ষা। রাজ্যটির মোট ৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রে এক ধাপেই আজ সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে।
রাজ্যটিতে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে ২৬টি কেন্দ্র। বিজেপিকে হারাতে ‘মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে তৃণমূলের। ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে এমজিপি। গোয়ায় তৃণমূলের হয়ে দায়িত্বে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের সাংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব বলেছেন, এবার বিজেপি টের পাবে। গোয়াবাসী এবার বিজেপিকে হারাবেন। এটা আমাদের বিশ্বাস। বাংলায় মমতার উন্নয়নের ঢেউ এখানেও আছড়ে পড়ছে, এটাই চায় গোয়াবাসী। ভোট পর্যালোচনার জন্য পানাজিতে তৃণমূলের তরফে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। কলকাতা থেকে সর্বক্ষণ মনিটর করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।
দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টিও গোয়ার নির্বাচনী যুদ্ধে শামিল হয়েছে। ফলে, এবার আর কংগ্রেস, বিজেপি কিংবা গোয়ার আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে লড়াই সীমাবদ্ধ নেই। এমন বহুমুখী লড়াইয়ের সাক্ষী থেকে গোয়া শেষ পর্যন্ত কাদের দখলে যাবে সেটাই এখন দেখার। দেশটির জাতীয় স্তরে তৃণমূলের শক্তি বাড়াতে গোয়ার নির্বাচনকে ‘অ্যাসিড টেস্ট’ হিসেবে দেখছেন মমতা।
প্রতি বুথে গড়ে ভোটার সংখ্যা কম বেশি ৬৭২ জন। যা দেশটির মধ্যে সবচেয়ে কম। তা সত্ত্বেও সব ধরনের করোনা বিধি মেনেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। গোয়ার পাশাপশি ভারতের দুই রাজ্যে এদিন চলছে মোদী-শাহর অগ্নিপরীক্ষা। প্রত্যাবর্তন, নাকি পরিবর্তন!
সোমবার ভালোবাসা দিবসের দিনে গোলাপের সুবাস, নাকি কাঁটার আঘাত, কী অপেক্ষা করে আছে বিজেপি শিবিরের ভাগ্যে? এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। প্রথম ধাপের পর সোমবার উত্তরপ্রদেশেও শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে ৫৫টি আসনে ভোট। জাঠ-যাদব সম্প্রদায়ের সঙ্গে মুসলিম অধ্যুষিত পশ্চিম-উত্তরপ্রদেশের ভোটে আদৌ কী মন জয় করতে পারবেন যোগী আদিত্যনাথের দল?একইসঙ্গে নির্বাচন চলছে ভারতের উত্তরাখণ্ডের ৭০ আসনে। তিন রাজ্যেই এখনও বিজেপির দখলে। তাই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা মোদী শাহর।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
ভিএস/এএটি