কলকাতা: কলকাতা মিউনিসিপালিটির পর ১২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) পশ্চিমবঙ্গে চার পুরসভায় ভোট ছিল। তাতে চারটে পুরসভায় ক্ষমতায় এলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস।
উত্তরের শিলিগুড়ি থেকে দক্ষিণের সল্টলেক অধ্যুষিত বিধাননগর। মধ্যে শিল্পাঞ্চল শহর আসানসোল ও গঙ্গা লাগোয়া চন্দনগর, সব কয়টায় বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
স্বভাবতই ভোটের ফলে খুশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভালোবাসা দিবসে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দলনেত্রী বললেন, ‘এ জয় মানুষের জয়, ভালোবাসার জয়, সবার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের প্রণাম, সালাম জানাচ্ছি।
তৃণমূল প্রধান ভোটের ফল নিয়ে আরও বলেন, যেকোনো জয়ে আমাদের নম্র ও মানবিক হতে শেখায়। আমাদেরও তা হতে হবে। মানুষের এই বিপুল রায়ের পর আমাদের শহরগুলোর উন্নয়ন করতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর করতে হবে। কোভিডমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
এই প্রথম শিলিগুড়ি পুরসভা তৃণমূলের হাতে এলো। ভোটের ফল প্রকাশ হতেই দলনেত্রী মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সেখানে মেয়র হবেন গৌতম দেব। ’ দীর্ঘ মমতার জমানায় শিলিগুড়ি পুরসভা অন্তত বামদের দখলে ছিল।
এদিন কংগ্রেস অভিযোগের সুরে বলেছে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বামদের ভরাডুবি কারণ। সে কারণেই বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের মতো মানুষকে মেয়র থেকে পদ থেকে সরতে হলো।
বামদের অভিযোগ, গায়ের জোরে ভোট হলে এ ধরনের ফল ছাড়া উপায় নেই। সাধারণরা ভোট দিল কই? ভোট তো ভারতের আরও পাঁচ রাজ্যে হচ্ছে। কোথাও কোনো ন্যূনতম অশান্তি খবর নেই। আর পশ্চিমবঙ্গের লোকাল ভোট নিয়েও এত অশান্তি, এত ভুয়া ভোটার ফলে, ফল যা হওয়ার হয়েছে।
অপরদিকে, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে এই পুরসভায় প্রায় সব ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু এবারের মিউনিসিপালিটি নির্বাচনে ফল ঘুরে গিয়ে বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই তৃণমূলের দখলে।
শিলিগুড়ি নিয়ে মমতা মন্তব্য, এখানে গত নির্বাচনে বিজেপি জিতে ছিল। কিন্তু মানুষের জন্য কিছু করেনি।
শুধু শিলিগুড়ি কেন, উত্তরবঙ্গের অনেক এলাকায় বিজেপি জিতেছে। কোনও উন্নয়ন হয়নি বলেও মন্তব্য করেন মমতা।
বামদের মত এবারের পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি-কংগ্রেসও, মমতার দলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে।
তৃণমূলনেত্রী তার জবাবে বলেছেন, ভালো হবে কী করে, এই তিন দল আসলে ‘জগাই-মাধাই-গদাই’। মানুষই রাজনৈতিকভাবে এদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাশাপাশি এবারের পুরসভা ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
একইসঙ্গে নেত্রীর নির্দেশ, কোনো ধরনের প্ররোচণায় কর্মী সমর্থক পা না দেয়। তার কথায়, শান্তির পক্ষে কাজ করতে হবে আমাদের। কে দ্বিতীয়, তৃতীয় হচ্ছে বা কার জামানত জব্দ হচ্ছে তা নিয়ে তিনি ভাবিত নন বলেও জানিয়েছেন মমতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
ভিএস/এএটি