কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে ৫ জায়গার পুরনিগম ভোটের পর রাজ্যজুড়ে পুরসভা ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কলকাতার পর, সস্প্রতি শেষ হয়েছে শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগর ও চন্দনগর করপোরেশন (পুরনিগম) ভোট।
তবে এবারের পুরভোটে ‘এক ব্যাক্তি এক পদ’ নীতি বজায় রেখেছে শাসক দল। অর্থাৎ কোনো বিধায়ক, সাংসদের কাউন্সিলর ভোটে প্রার্থী করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরও প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসছে। জায়গায় জায়গায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিচ্ছে। আর এসব দেখেই হুমকির সুরে দলনেত্রী জানিয়েছেন, ‘মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময় দিলাম, তারমধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। নাহলে সোজা দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। ’
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি বার্তা পৌঁছে গেছে জেলায় জেলায়। জেলা সভাপতিরা নির্দল প্রার্থীদের সেই সার্কুলার পাঠিয়ে দেবে। দলের নির্দেশ অমান্য করে, নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ালেই দল থেকে বহিষ্কার করা হবে নেতা বা নেত্রীদের। লিফলেট বিলি করে সেই নির্দল প্রার্থীদের জানাতে হবে, তারা নির্বাচনে লড়ছেন না। এর অন্যথা হলে দল তাদের বহিষ্কার করবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতাসহ চার পুরনিগমের পর রাজ্যের ১০৮ পুরসভার নির্বাচন আসন্ন। কিন্তু আগের মতো এবারও দলের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নির্দল প্রার্থীরা। কলকাতা পুরনিগম ভোটে মমতার নিজের ওয়ার্ডে টিকিট না পেয়ে নির্দল দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন বিদায়ী এক কাউন্সিলর। পরে চাপ দিয়ে তাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে তৃণমূল। নচেৎ মমতার ভাইয়ের বউকে হারতে হতো নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের থেকে, এমনটাই মত ওই ওয়ার্ডের।
কলকাতা করপোরেশন ভোটে এরকম ঘটনা একাধিক ঘটেছিল। তখন নেতা-মন্ত্রীরাই এরকম হুমকি দিয়েছিল নির্দল প্রার্থীদের। কিন্তু এবার আর নেতা-মন্ত্রীদের কথায় কাজ হচ্ছিল না। তাই নেত্রীর কণ্ঠের হুমকির বার্তা পৌঁছে গেল জেলায় জেলায়। এবারের পুরভোটে শাসক দলের সাথে কোথাও দ্বিমুখী, কোথাও ত্রিমুখী লড়াই। তরমধ্যে দলীয় নেতারাই নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ালে ফল অন্যকিছুও হতে পারে। যে কারণেই মমতার এই হুঁশিয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
ভিএস