কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের ১০৮টি পুরসভা নির্বাচন চলছে। রাজ্যটির প্রায় ৯৬ লাখ নির্বাচক নির্ধারণ করবেন মোট ২ হাজার ১৭১টি ওয়ার্ডের পরিচালন ভবিষ্যৎ।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ভোটে প্রতিটি পুরসভার জন্য বাড়তি একজন করে অবজার্ভার আছে। প্রতিটি বুথে আছে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশের পাহারা।
এদিকে কলকাতা করপোরেশন থেকে শুরু হয় ভোট। তারপর বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ির—এসব পুরণিগম অর্থাৎ করপোরেশন রাজ্যের শাসক দল ক্ষমতা পাওয়ায়, রাজ্যটির ১০৮ পুরসভায় আরও উজ্জীবিত তৃণমূল কংগ্রেস।
এই আবর্তে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসসহ বিরোধীরা নেমেছেন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে।
তবে পাঁচ পুরনিগম ভোটে নির্বাচকদের সমর্থন বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম তথা বামেরা। আর সেই সমর্থনে অনেকটা প্রানবায়ু পেয়েছে, তৃণমূল বিরোধী ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, ৩ জন পুলিশ ছাত্র নেতাকে নিজের বাড়ির ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আর এতেই মৃত্যু হয় আনিসের। তবে তদন্ত চলছে। রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিষ্ক্রিয়তায় অনেকটা অক্সিজেন পেয়েছে বাম বিগ্রেড। সেই ইস্যুকে সামনে রেখে বামেদের ভোট বাড়তে পারে।
এবারে রাজ্যের শাসক দল ১০৮ পুরসভার মধ্যে ১০৭টিতে প্রার্থী দিয়েছে। দার্জিলিং ছেড়ে দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে।
এই নির্বাচনে বিজেপির স্টার প্রার্থী অভিনেতা হিরণ। যিনি পশ্চিম মেদিনিপুর একটি অঞ্চলের বিধায়কও। পাশাপাশি তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ঝিলিক ধারাবাহিকের অভিনেত্রী শ্রীতমা। তবে ভোটে বাংলার ট্রেন্ড বহাল আছে। লোকাল ভোট নিয়েও বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি। কোথাও ইভিএম ভেঙে দেওয়া, এজেন্ট বসতে না দেওয়া, ইট বৃষ্টি, পুলিশের লাঠি চার্জ, ভুয়া ভোটার সব কিছুই বহাল আছে প্রতি ভোটের মত। এ ভোটের ফল ২ মার্চ প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
ভিএস/এনএইচআর