কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুর এই চার রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখলো বিজেপি। অপরদিকে পাঞ্জাবে এলো পরিবর্তন।
এই পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচন গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ছিল গণনা। সেখানেই চার রাজ্যের বিধানসভা ধরে রাখলো বিজেপি, এক রাজ্যে এলো পরিবর্তন।
ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। বলা হয়, দিল্লির চেয়ার কোন দলের হাতে থাকবে তা অনেকটা নির্ভর করে উত্তরপ্রদেশ। ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে এবার সাত ধাপে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৭ মার্চ ছিল উত্তরপ্রদেশের শেষধাপের ভোট।
এছাড়া ৬০টি কেন্দ্রে মণিপুরে দুইধাপে হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। ১১৭টি কেন্দ্রে পাঞ্জাবে ভোট হয়েছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। ৭০টি আসনে উত্তরাখণ্ড এবং ৪০টি কেন্দ্রে গোয়ায় নির্বাচন হয় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। তবে পুরো ভারত তাকিয়ে ছিল এই পাঁচ রাজ্যের ফলের দিকে। কারণ এই পাঁচ রাজ্যই ধারণা দেবে ২০২৪ সালে ভারত কোন রাজনৈতিক দলের থাকতে পারে।
উত্তরপ্রদেশে ৪০৩টি আসনের মধ্যে যোগীর বিজেপি পেয়েছে ২৭৭টি। প্রথম থেকেই উত্তরপ্রদেশে মোদী-শাহ ভরসা রেখেছিল যোগীর ওপর। সরকারি প্রকল্প বা স্কিম, ল অ্যান্ড অর্ডার, মাফিয়া নিধন এবং হিন্দুত্ববাদী- এই চার ইস্যুকে সামনে রেখে যোগীর বাজিমাত। এই রাজ্যে বিজেপির ফর্মুলা ছিল ৮০ শতাংশ ভোটারকে কেন্দ্র করে প্রচার, আর তাতেই বাজিমাত বিজেপির।
এদিকে ভারতের কৃষক আন্দোলনের সংগঠিত কৃষক, জাঠ ও মুসলিম সম্প্রদায় এবং বাঙালি ভোট এবারেও এক হতে পারলো না। এই রাজ্যে কংগ্রেস টিকে থাকলো প্রদীপের নিভু নিভু আলোর মতো। ৪০৩টি আসনের মধ্যে মাত্র দুটি ধরে রাখতে পারলো তারা। এর প্রভাব পড়তে পারে আগামী লোকসভা ভোটে।
কংগ্রেসের তরফে উত্তরপ্রদেশে দায়িত্বে ছিল প্রিয়াঙ্কা ও রাহুল গান্ধী। তবে উত্তরপ্রদেশে বিরোধী শক্তি হিসেবে ১১৯টি আসন পেয়ে উঠে এলো অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি।
অপরদিকে উত্তরাখণ্ড রাজ্যটির নীতি ছিল পাঁচ বছর পর ক্ষমতার পরিবর্তন করা। কিন্তু এই প্রথম পরপর দুইবার ক্ষমতা ধরে রাখলো বিজেপি। মণিপুরেও বিজেপি। তবে গোয়া রাজ্যে এককভাবে কোনো দলই ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি। সেখানে মোট ৪০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৯টি, কংগ্রেস ১২টি, তৃণমূল তিনটি, আপ দুটি ও অন্যান্য চারটি আসন নির্দল জিতেছে।
তিন নির্দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি। পাঁচ রাজ্যের ফলে সরকারি সিলমোহর এখনো না পড়লেও চার রাজ্যে সরকার গড়ছে বিজেপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২১
ভিএস/এনএসআর