কলকাতা: বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্র যখন মৌলবাদে আক্রান্ত তখন ধর্মনিরপেক্ষতা-মানবতার কথা জানান দিল শাহরিয়ার কবির পরিচালিত তথ্যচিত্র ‘হাকানের শান্তিযাত্রা’।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে তুরস্কের একজন বাঁশি বাদক ও লেখক হাকান কীভাবে সুফিবাদ এবং কবি জালালউদ্দিন রুমি থেকে লালনের দর্শনে আকৃষ্ট হচ্ছেন—সেই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বুধবার (১৬ মার্চ) কলকাতা প্রেসক্লাবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির পরিচালিত ‘হাকানের শান্তিযাত্রা’র প্রদর্শিত হয়েছে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, তথ্যচিত্রটি বাংলাদেশের পাশাপাশি কোরিয়া, তুরস্কের পর কলকাতায় এই প্রথম দেখানো হলো। যখন তরুণ সমাজ উগ্র মৌলবাদে ঝুঁকছে তখন হাকানের মতো অনেকেই কেনো সুফিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছেন। সেখানে হাকান রুমির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে, প্রকৃত ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। এখানে আমি দেখাতে চেয়েছি, রুমির প্রভাব আমাদের উপমহাদেশে কীভাবে পড়েছে। রুমি হলেন ধর্মনিরপেক্ষতা-মানবতার দর্শন। আমি এখানে বাদ রেখেছি অ্যাধ্যাত্মিকতা। মানবতা ও ভালোবাসার ঐক্যেরর চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ মানবিকতার চেতনা এই উপমহাদেশ থেকেই গেছে। ভারত বড় দেশ হিসেবে তার অনেকটাই দায়িত্ব আছে। কারণ, ভারতে যদি কোনো সাম্প্রদায়িকতা বিস্তার করে তার অভিঘাত কিন্তু বাংলাদেশে পড়বে। একইভাবে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার মাথাচাড়া দিলে তার প্রভাব ভারতে পড়বে। ’৪৭ এর আগে একটাই তো দেশ ছিল। আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা অভিন্ন। এখানে আমার নাগরিক সমাজের কাছে আবেদন, এ বিষয়ে আপনাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। এসব মৌলবাদের সংখ্যা খুবই অল্প, কেন আমরা তাদের পরাস্ত করতে পারব না?
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, সাংবাদিক বাহারউদ্দিন, অধ্যাপক শক্তিনাথ ঝা, প্রেসক্লাব সভাপতি স্নেহাষীশ সুর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ