কলকাতা: প্রতিবারই রোজার সময় কলকাতায় পাকা ফলের দামে হেরফের হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এদিকে ফলের দাম বাড়লেও মশলাপাতি এবং ড্রাইফ্রুটের দাম মোটামুটি স্বাভাবিকই আছে।
জানা গেছে, যেখানে কলকাতার অন্যান্য বাজারগুলোয় ৫০ থেকে ৭০ রুপির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পাকা পেঁপে, সেখানে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো তার দাম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ রুপি। অথচ ফল আসছে একই পাইকারি বাজার থেকে। একইভাবে তরমুজ প্রতি কেজি ১০০ রুপি, অথচ এবার তরমুজের ফলন ভালোই হয়ছে বাংলায়। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারত থেকে এসেছে ছোট জাতের তরমুজ।
সাধারণ বাজারে আপেল যেখানে মান অনুযায়ী প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ রুপি, সেখানে রোজাদার এলাকায় তা শুরুই হচ্ছে ২শ রুপি দিয়ে। ১ পিস সফেদা ২০ রুপি। বেদানার কেজি ১৪০ রুপি। তবে কলকাতার মানুষ এসবে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। উৎসবকে ঘিরে বাজারের দাম পরিবর্তন হয়ে থাকে। রমজানে যেমন ফলের দাম বাড়ে, তেমনি পূজা-পার্বনেও হঠাৎ বেড়ে যায় পাকা ফলের দাম।
তবে মোটামুটি সাধারণ মধ্যবিত্ত রোজাদারদের নাগালের মধ্যেই আছে ড্রাই ফ্রুট এবং মশলাপাতি। কলকাতায় প্রতি কাজু কেজি বাদামের দাম ৬৮০ থেকে ৭২০ রুপি, কিসমিস ৩৬০ রুপি, সল্টেড পেস্তা বাদাম ১ হাজার রুপি, আখরোট ১১শ রুপি এবং আলমন্ড বাদাম ৬৮০ রুপি।
মসলাপাতির মধ্যে মান অনুযায়ী ছোট এলাচ প্রতি কেজি ১৪শ থেকে ১৭শ রুপি আর বড় এলাচ ৯৮০ থেকে ১৪ শ রুপি। দারুচিনি ৩৮০ থেকে ৬২০ রুপি। লবঙ্গ ১ হাজার রুপি এবং জিরা ২৫০ রুপি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে গোটা কলকাতায় অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে শসা এবং সরবত খাওয়ার লেবুর দাম। প্রতি পিস লেবু ৮ থেকে ১০ রুপি। অথচ কয়েক দিন আগেই তা ৪ থেকে ৫ রুপিতে পাওয়া যেত। একই ভাবে একলাফে শসার দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৭০ রুপি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, ৫ এপ্রিল, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড