কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র কেন্দ্রবিন্দুতে বাতাসের গতি ১২০ কিলোমিটার। যত সময় গড়াবে ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি ক্ষয় হতে থাকবে।
মঙ্গলবার কলকাতা আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দুপুরের পর থেকে অশনি অভিমুখ বদল করে উত্তর-পূর্ব দিক ধরে উড়িষ্যা উপকূলবর্তী এলাকায় মধ্যরাতে পৌঁছাবে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় অশনির যে পরিস্থিতি তাতে উড়িষ্যার ভূপৃষ্ঠ ধরে সমুদ্র বরাবর অশনি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে।
এর ফলে উড়িষ্যার প্রতিবেশী রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে একটা প্রভাব পড়বে। তবে কোথাও ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি হবে না। তবে পশ্চিমবঙ্গসহ অন্ধ্রপ্রদেশ, হায়দ্রাবাদ, উড়িষ্যাসহ কয়েকটি রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে।
পশ্চিমবঙ্গে সমুদ্র মাঝে মাঝে উত্তাল হয়ে উঠছে। এর জেরে কলকাতায় গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে। তবে কলকাতার আকাশ কখনও মেঘাচ্ছন্ন, কখনও রোদেলা।
আবহাওয়া দপ্তরের জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের ৫ জেলা অর্থাৎ কলকাতা এবং শহর কলকাতা সংলগ্ন উত্তর ২৪পরগনা, দক্ষিণ ২৪পরগনা, পূর্ব মেদিনিপুর, পশ্চিম মেদিনিপুরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে এবং যা চলবে আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত। রাজ্যের নদীর বাঁধগুলির ওপর নজর রেখেছে প্রশাসন।
বিপর্যস্ত এলাকাগুলো থেকে দুর্গত মানুষদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রস্তুত আছে পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পাশাপাশি প্রস্তুত আছে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও কলকাতা করপোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ