কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে কি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? উত্তরটা এখনও স্পষ্ট না হলেও জীবনের কঠিনতম দিনে তিনি পাশে পাননি দলনেত্রীকে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মমতার সঙ্গী ছিলেন, আক্ষেপ নিয়ে সে কথা নিজেই জানালেন গ্রেফতার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে গ্রেফতার করার পর কলকাতার এক হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় ভারতের আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, তাঁকে পাইনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী থাকার সময় তিনি ও তাঁর সহযোগীরা ঘুষ নিয়ে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই সময় ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শুক্রবার সকালে কলকাতায় তাঁর নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেই থেকে একটানা একদিনের বেশি সময় ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি কর্মকর্তারা। ইডির বহু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন পার্থ। কথায় অসঙ্গতি পাওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একই ভাবে পার্থের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
অর্পিতার বাড়ি থেকে এখন অবধি পাওয়া গেছে ৮০ লাখ রুপির স্বর্ণ, বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা। তাঁর বাড়ি থেকে ২০টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে। এর সাথে পাওয়া গেছে ২১ কোটি রুপি। এসবের সঙ্গে রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী জড়িত বলে ইডির সন্দেহ।
পার্থের বাড়িতে ইডির হানার পরপরই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, দল গোটা ঘটনাক্রমের ওপর নজর রাখছে। সঠিক সময়ে দল এই ব্যাপারে মতামত জানাবে বলে জানিয়েছেন কুণাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ