ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের যাত্রা শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২২
কলকাতায় ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের যাত্রা শুরু

কলকাতা: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। কলকাতায় পথচলা শুরু হলো বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভারতীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তৈরি ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সদস্য সংগ্রহ ও নিজেদের মধ্যে বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রেসক্লাবের শুভসূচনা হয়েছে। সদস্যদের সহযোগিতা ও একসঙ্গে মিলে যেকোনো সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য এই প্রেসক্লাব।

আপাতত কলকাতার এন্টালি থানার অধীন পি-৭৩, সিআইটি রোড, দেব লেন, প্রথম তলা, কলকাতা ৭০০০১৪, অস্থায়ী ঠিকানা থেকে এই প্রেসক্লাবের কার্যক্রম চলবে। যদিও খুব শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ঠিকানা হতে চলেছে।

প্রেসক্লাবের শুভসূচনা অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি অমর সাহা, চ্যানেল২৪ ও সমকালের প্রতিনিধি শুভজিৎ পুততুন্ড, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ও নিউজ২৪ এর প্রতিনিধি ভাস্কর সরদার, সময় টেলিভিশনের প্রতিনিধি সুব্রত আচার্য, জাগোনিউজ২৪-এর প্রতিনিধি জ্যোতির্ময় দত্ত, ইত্তেফাকের প্রতিনিধি তারিক হাসান, প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক ভাস্কর মুখার্জি, দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি দীপক মুখার্জি, যমুনা টেলিভিশনের কলকাতা প্রতিনিধি সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিনিধি দেবপ্রসাদ অধিকারী, নিউজ২৪ এর ভিডিও জার্নালিস্ট শাকিল আবেদীন প্রমুখ।

ভারতীয় সংবিধান বিধি মেনে আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং আমলাদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় কলকাতায় ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সূচনা হয়েছে। ক্লাবের নিয়ম অনুয়ায়ী, যারা নিয়মিত বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভারতীয় প্রতিনিধি তারা সদস্যপদ পাবেন। যারা বাংলাদেশ ও অন্য দেশের নাগরিক তারা পাবেন সাম্মানিক সদস্য পদ।

ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের মুখপাত্র, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ এর ভারতীয় প্রতিনিধি দীপক দেবনাথ বলেন, আমাদের কারও সাথে লড়াই নেই, অভিযোগ বা বৈরিতা নেই। কিছু জটিলতার কারণে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কলকাতা প্রতিনিধিরা অন্যকোনো প্রেসক্লাবে সদস্য হতে পারেন না। কিন্তু আমাদের একটা প্ল্যাটফর্মেরও প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে, অতীতের বহু প্রচেষ্টার পর এবারই প্রথম ‘ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব’ হলো ভারতের কলকাতায়। ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য, বাংলাদেশ গণমাধ্যমের ভারতীয় প্রতিনিধিদের একসাথে কাজ এবং একে অপরের পাশে থাকা। যা দুই দেশের সঠিক নিউজের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সুদৃঢ় মৈত্রী এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য আমাদের এই ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব। একটা পরিকল্পনার মধ্যদিয়ে কলকাতায় পথচলা শুরু হলেও পরবর্তীতে দিল্লি, আগরতলাসহ ভারতের যেখানে যেখানে বাংলাদেশ গণমাধ্যমে ভারতীয় প্রতিনিধিরা আছেন, তাদের একসাথে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা। সেই লক্ষ্যেই আজ আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।