ঢাকা: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একশোটি ইকোনোমিক জোন গড়ছে সরকার। হংকং চাইলে বাংলাদেশ সরকার একটি ইকোনোমিক জোন বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দ দেবে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) হংকং সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সেদেশের বাণিজ্য ও ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী সো ক্যাম ল্যুঙ গ্রেগরির সঙ্গে বৈঠকে এসব বলেন।
তোফায়েল আহমেদ দু’দেশের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য হংকং-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এরপর দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে একটি এমওইউ স্বাক্ষর হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. এ এফ এম মনজুর কাদির ও হংকং-এর পক্ষে হংকং ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সোফিয়া চোঙ এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে হংকং। দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ হংকংয়ের সঙ্গে এ বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, হিমায়িত মাছ, শুকনা মাছ, শুকনা খাদ্য, পাটজাত পণ্য, তাঁবু, ক্যাপসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে হংকং-এ। বাজারে এ সব পণ্যের আমদানি বাড়ালে দু’দেশই লাভবান হবে।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৪৭ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য হংকং-এ রপ্তানি করেছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৮৭৬ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। এ ক্ষেত্রে একদিকে যেমন রয়েছে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা, অপরদিকে রয়েছে বাণিজ্য বাড়ানোর অপার সম্ভাবনা।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বুধবার (২০ এপ্রিল) হংকং-এ অনুষ্ঠিত হংকং হাউজওয়্যার ফেয়ার ২০১৬- এ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং মেলা ঘুরে দেখেন। এ সময় হংকং ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ডিরেকটর বেনজামিন চাউ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
এসকেএস/এএ