ঢাকা, সোমবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিল্প

ট্যানারি শিল্প

পর্যাপ্ত বর্জ্যের অভাবে সীমিত আকারে চলছে ইটিপি

এস এম আববাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০৩, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬
পর্যাপ্ত বর্জ্যের অভাবে সীমিত আকারে চলছে ইটিপি ছবি: দীপু-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পর্যাপ্ত বর্জ্যের অভাবে সীমিত আকারে চলছে সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পের আকারে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (ইটিপি) কাজ।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাভারের চামড়া শিল্প এলাকা ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, চামড়া শিল্পনগরীতে নির্মিত ইটিপি-তে এপেক্স ট্যানারিসহ সাতটি প্রতিষ্ঠান চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ চালাচ্ছে। ঈদের আগে থেকে এ পর্যন্ত জমা বর্জ্য দিয়েই কাজ চলছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমিত আকারে চললেও বর্জ্য জমা হওয়ার জন্য অন্যান্য মডিউল ও এর অংশগুলো অপেক্ষায় রয়েছে। প্রয়োজনীয় বর্জ্য জমা হলেই পুরোদমে কার্যক্রম চালানো হবে।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ইটিপি পরিদর্শন করেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক দলের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল, প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আব্দুল কাইয়ুম, আবাসিক প্রকৌশলী ইকরামুজ্জামান শেখ, পরিবেশ অধিদফতর ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক ম. আলমগীর, পরিচালক (এনআরএম) ড. সুলতান, প্রকল্পে প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে নিয়োজিত বিসিকের প্রকৌশলী সেহেলী সাদিক প্রমুখ।

এ সময় ইটিপি ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য পরিশোধন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ১৫৫টি ট্যান‍ারির বর্জ্য পরিশোধনের জন্য এ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্ল্যান্টটির ধারণ ক্ষমতা ২৫ হাজার কিউবেক মিটার। কিন্তু ঈদের আগে থেকে এ পর্যন্ত ধারণক্ষমতার মাত্র ১০ শতাংশ বর্জ্য জমা হয়েছে। যদিও মোট ক্ষমতার শতভাগ বর্জ্য প্রতি ১৮ ঘণ্টায় সংগ্রহ হওয়ার কথা।

বর্জ্য সংকটে পুরো মডিউলের অধিকাংশ বন্ধ রেখে তাই সীমিত আকারে চালু রাখা হয়েছে ট্রিটেমন্ট প্ল্যান্ট।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে দৈনিক দু’হাজার কিউবেক মিটার বর্জ্যও সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গত ১৫ দিনে মোট ক্ষমতার প্রায় ১০ শতাংশ বর্জ্য জমা হয়েছে।

ম. আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, ‘ইটিপি এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। প্রয়োজনীয় ইফ্লুয়েন্ট (বর্জ্য) নেই। ১৫৫টি ট্যানারি এখানে এলে ও পুরোপুরি চামড়া প্রক্রিয়াজাত শুরু করলে সবগুলো মডিউল চালু হবে। ’

প্রকল্প পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম জানান, সবগুলো মডিউল চালু করতে হলে সব ট্যান‍ারির বর্জ্য প্রয়োজন হবে। চালুর পর থেকে প্রথম দু’বছর চীনা কোম্পানি এর দায়িত্ব পালন করবে।
 
এদিকে বর্জ্য পরিশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রয়োজনীয় বর্জ্য সংগ্রহে আরও ১৫ দিনের বেশি সময় লাগবে বলে জানান বিসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সেহেলী সাদিক।

‘কেননা সামান্য বর্জ্য জমা হয়েছে। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প পুরোপুরি স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত প্ল্যান্টের এ বর্জ্য সংকট চলবে,’ যোগ করেন তিনি।
 
চামড়া শিল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ট্যানারির অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলেছে। অনেকে এখনও অবকাঠামো নির্মাণ কাজই শুরু করতে পারেনি।

এদিকে কার্যক্রম শুরু করলেও পূর্ণাঙ্গভাবে চামড়া প্রক্রিয়ার (হোয়াইট-ব্লু) কাজ করতে পারছে না এপেক্স ট্যানারি। অন্য ট্যানারিগুলোও কার্যক্রম চালাচ্ছে সীমিত আকারে।

এপেক্স ট্যানারির জেনারেল ম্যানেজার মাহিদুন্নবী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা চারটি ড্রাম চালু করেছি। দু-একদিনের মধ্যে আরও ৮টি চালু করা হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬
এসএমএ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।