ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

বাছুরের জন্য কৃত্রিম দুধ, খাওয়াতেও বাট লাগানো বিশেষ বালতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৭
বাছুরের জন্য কৃত্রিম দুধ, খাওয়াতেও বাট লাগানো বিশেষ বালতি বাছুরের জন্য কৃত্রিম দুধ, খাওয়াতেও বাট লাগানো বিশেষ বালতি। ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: মা গরুর দুধ খেয়ে ফেলা বাছুর খামারিদের বড় দুশ্চিন্তার কারণ। সে দুশ্চিন্তা থেকে তাদের রেহাই দিতে বাজারে এসেছে কৃত্রিম গুঁড়ো দুধ। আর তা খাওয়ানোর জন্যও এসেছে গরুর স্তনের মত স্থিতিস্থাপক বাট লাগানো বিশেষ বালতি।

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী দশম ইন্টারন্যাশনাল পোল্ট্রি শো অ্যান্ড সেমিনারে চলছে এই গুঁড়ো দুধ ও বালতির প্রদর্শনী। এ দু’টি পণ্য বাজারে এনেছে উইনিং অ্যাগ্রো।


 
প্রতিষ্ঠানটি খামারে বাছুরকে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সব সেবার প্রদর্শনী করছে। তবে সবচেয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে-বাছুরের বাসস্থান ও খাবার দেওয়ার পদ্ধতি সংক্রান্ত এ ‘কাপ পেন’ নিয়ে।
 
কাপ পেনটি হচ্ছে বাছুরের থাকার ঘর। জন্মের পর থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত এখানে রাখা হয়। এরপর আরও বড় পরিসরে বড় কাপ পেন দেওয়া হয় একসঙ্গে একাধিক বাছুরকে। এক্ষেত্রে ঘুমানোর একটি ঘর থাকে। যার সামনে থাকে একটি খোয়াড়। এরই বেড়ার সঙ্গে লাগানো লাগে বিশেষ কায়দায় তৈরি দুধের বালতি। বালতিটি প্লাস্টিকের তৈরি। আর সঙ্গে লাগানো থাকে গরুর স্তনের মত স্থিতিস্থাপক একটি বাট। এতে টানলেই বালতিতে রাখা কৃত্রিম দুধ পায় বাছুর।
 
খোয়াড়ের বেড়ায় একটি পাত্রে রাখা হয় পানি। অন্যটিতে শুকনো খাবার। আর তার পাশেই রাখা হয় খড় রাখার পাত্র, যার ওপরের ঢাকনা বৃষ্টি বা পানিতে খড় ভিজতে দেয় না।
 
উইনিং অ্যাগ্রো’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়াস আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, কাপ পেনটি তৈরি করতে ৫ হাজার টাকার মত খরচ হবে। বাছুরকে প্রথমে অবশ্যই শাল দুধ দিতে হবে। এক্ষেত্রে জন্মের পর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৫ লিটার শাল দুধ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন ২ লিটার করে শাল দুধ দিতে হয়। এরপর থেকেই মিল্ক রিপ্লেসার বা কৃত্রিম দুধ দেওয়া যাবে। ‍আর এটা খাওয়ানোর ১ ঘণ্টা আগে-পরে কোনা প্রকার দানাদার খাবার, ভূষি ও পানি খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া ১২ সপ্তাহের মধ্যে কোনো প্রকার কাঁচা ঘাস দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর চতুর্থ দিন থেকেই প্রয়োজন মত দানাদার খাবার কৃত্রিম দুধের পাশপাশি দেওয়া যাবে।
 
মিল্ক রিপ্লেসার বা কৃত্রিম দুধের গুঁড়ো গরুর দুধ থেকেই প্রয়োজনীয় উপাদান নিয়ে তৈরি করা হয়। আর যে উপাদান মা গরুর দুধে থাকে না, তাও যোগ করা হয়। তাই মায়ের দুধের থেকেও এই গুঁড়ো দুধ পুষ্টিকর। বিদেশে সব খামারে এই দুধই দেওয়া হয়, যা নেদারল্যান্ডে তৈরি।
 
এছাড়া গরুকে সব সময় খাওয়াতে হয় শুকনো খাবার। আর পানি দিতে হয় আলাদা করে। আমাদের দেশে প্রচলিত যে ফিডিং পদ্ধতি রয়েছে, যেখানে ভুষি বা খড়ের সঙ্গে পানি মিশিয়ে দেওয়া হয়, এটা ঠিক নয় বলে মনে করেন গিয়াস আহমেদ।
 
শনিবার (৪ মার্চ) রাতে দশম ইন্টারন্যাশনাল পোল্ট্রি শো অ্যান্ড সেমিনারের পর্দা নামবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৭
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।