মেলায় পণ্য নিয়ে বসেছে ২০৫টি প্রতিষ্ঠান। তাদের স্টলে প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, লাইট, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, আইটি পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, হস্তশিল্প, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার প্রভৃতি।
সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে পাটজাত পণ্য আর দেশীয় বাহারি রঙ-নকশার পোশাক।
মেলায় বেচা-কেনা সম্পর্কে ‘জুটেক্সকো’র ম্যানেজার অহিদা ওসিকার বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিনেই আমরা ভাল সাড়া পেয়েছি, আমাদের পণ্যের দাম তেমন বেশি নয়, সর্বনিম্ন ৩৫০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। তবু অনেক বেচা-কেনা হয়েছে, আশা করি আজও বেশ ভাল বিক্রি হবে।
তিনি বলেন, বিকেল হলে দলে দলে মানুষ আসে, অনেক মানুষেরই এই পাটজাত পণ্যের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে, সেটা মেলায় না এলে বুঝতে পারতাম না। আমাদের এই স্টলের সবচেয়ে স্পেশাল পণ্য হলো পাটের সু (জুতা), গড়ে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ জুতা।
অন্যদিকে আর্টিজান হ্যাটের স্টলে বিক্রি হচ্ছে ঘরে তৈরি মেয়েদের আধুনিক পোশাক-আষাক। সেখানকার কর্মী আতিকুর বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিন ভিড় থাকে আমাদের এই স্টলে, ঘরে তৈরি এতো ভাল পোশাক হতে পারে, মানুষ এটা বিশ্বাসই করতে চায় না। আমাদের এখানে পণ্যের সর্বনিম্ন দাম ৮০০ টাকা আর সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ৫০০ টাকা।
মায়ের সঙ্গে মেলায় ঘুরতে এসেছেন সাবরিন সুলতানা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মার্কেটের চেয়ে এখানকার পণ্যের গুণগত মান অনেক ভালো, তাছাড়া সবগুলো আমাদের দেশের তৈরি। দেশের প্রতি ভালবাসাও কাজ করে। সব মিলিয়ে বেশ ভাল লাগছে মেলায় এসে।
অনেকে শুধুই ঘুরতে এসেছেন মেলায়। সবাবন্ধবে আসা তেমনই একজন রাশেদ হাসান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘুরতে এসেও একটা ওয়ালেট ভাল লেগে গেল। কী আর করা কিনে ফেললাম! এখানকার পণ্যগুলো খুব আকর্ষণীয় তো বটেই, লোভনীয়ও!
বুধবার (১৫ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়া এ মেলা চলবে ১৯ মার্চ পর্যন্ত। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এসটি/এইচএ/