ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প

রংপুরে বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
রংপুরে বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি রংপুরে বিডি শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ঢাকা: অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ও বিড়ি-সিগারেটের বৈষম্যমূলক শুল্কনীতির প্রতিবাদে বিড়ি শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে রংপুরের কয়েক হাজার বিড়ি শ্রমিক বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসনের কালেক্টর মাঠে মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি আলহাজ আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত লাবলু,  বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, কর্মচারী-শ্রমিক ঐক্য সংগ্রাম পরিষদ আহবায়ক মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,  দীর্ঘদিন ধরে বিড়ির কাজ করে শ্রমিকরা জীবিকা নির্বাহ করছে।

কিন্তু কর্মস্থানের কোনো সুযোগ তৈরি না করে অর্থমন্ত্রী দুই বছরের মধ্যে বিড়ি তুলে দিতে চান।   তার এই বক্তব্যে শ্রমিকরা মর্মাহত ও  হতাশ হয়েছে। বিড়ি ও সিগারেট একই পণ্য হওয়ার পরেও তিনি কেবল বিড়ি তুলে দিতে চাচ্ছেন। এতে প্রমাণ হয় তিনি সিগারেটের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছেন।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, বিড়ি নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের সবার বিচার করতে হবে।

এ সময় অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে শ্রমিক নেতারা বলেন, অর্থমন্ত্রী আজ গরীর শ্রমিক মারার মন্ত্রীতে পরিণত হয়েছেন। তিনি আজ বিড়ি শিল্পকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি বিদেশি সিগারেট কোম্পানিকে সুবিধা দিয়ে লাখ লাখ বিড়ি শ্রমিককে বেকার করতে চান।
শ্রমিকনেতারা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারসহ আগামী বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্ক না বাড়ানোর দাবি জানান।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় এবং এনবিআরের পরামর্শক সভায় অর্থমন্ত্রী দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্পকে বিদায় করার কথা বলেছেন। তার এই বক্তব্যের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিড়ি শ্রমিকরা ফুঁসে ওঠে।

এরইমধ্যে বাগেরহাট, খুলনা, বরিশাল, যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, লালমনির হাট গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, ভৈরব,  শেরপুর,  চট্টগ্রাম, ফেনি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, টাংগাইল, জামালপুর ও অর্থমন্ত্রীর নিজ জেলা সিলেটে বিক্ষোভ করেছে  এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ শ্রমিক।

এমনকি অর্থমন্ত্রীর বাসভবনও অবরুদ্ধ করে রাখে শ্রমিকরা। অন্যদিকে সংস্কৃতিমন্ত্রীর নীলফামারী জেলায় মন্ত্রীর আশ্বাসে অবরোধ ও বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকে শ্রমিকরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।