মঙ্গলবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পেট্রোবাংলার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান ও এওটি কোম্পানির এলএনজি বিষয়ক গ্লোবাল হেড জেমস ও’ব্রায়ান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীম পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, এওটি ট্রেডিংয়ের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মার্টিন ফেসার, ঢাকায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান ক্রিস্টফ ফাস।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে এওটির গ্লোবাল হেড জেমস ও’ব্রায়ান বলেন, জ্বালানিখাতকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সরকার ইতোমধ্যে এ খাতের উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে। আজকের এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য একটি মাইল ফলক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় এই সমঝোতা চুক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মত দেন তিনি ।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়ে এওটি আমাদের সহযোগিতা করবে। এছাড়া বাংলাদেশে গ্যাসের উৎপাদন, বিপণন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে আজকের এই চুক্তি স্বাক্ষর ফলপ্রসু হবে। চুক্তির ফলে এওটির মাধ্যমে এলএনজি আমদানির একটি পথ সুগম হলো।
শুধু তাই নয়, উভয়পক্ষ একমত হলে ভবিষ্যতে এওটির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করবে সরকার- বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলাদেশি-আমেরিকান ব্যবসায়ী আজিজ আহমদ। তিনি সুইস কোম্পানিটির সাথে পেট্রোবাংলার এই সমঝোতায় পৌঁছানোর প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অগ্রযাত্রায় এলএনজি একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ যার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকা প্রয়োজন। এই সমঝোতা চুক্তির মধ্য দিয়ে পেট্রোবাংলা এলএনজির সরবরাহে একটি দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করলো।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সাল থেকে এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে এওটি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
এসজে/আইএ