বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই প্রকল্প উন্নয়নের (এসডিজি) মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চীন দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স, বেজার নির্বাহী সদস্য (পরিকল্পনা উন্নয়ন) ড. এমদাদুল হক, বেজা নির্বাহী বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আইয়ুব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বেজার পক্ষে এর নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এবং চায়না হারবারের পক্ষে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন চোয়ান সোং শেয়ারহোল্ডার চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধি ও শিল্প বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য বিদেশি বিনিয়োগের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ০৬-১১ জুন ২০১৪ তারিখে চীন সফরের সময় দু’দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় প্রায় ৭৮৩ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেজা, চীন দূতাবাস ও চায়না হারবার-এর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ১৬ জুন বেজা ও চায়ানা হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং চীনের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরকালে গত বছরের ১৪ অক্টোবর বেজা এবং চায়না হার্বার কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার চাইনিজ ইকোনমিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনে বেজা ও চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বেজার এ শেয়ারহোল্ডার চুক্তি স্বাক্ষর হলো।
চাইনিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত। অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশে কোরিয়ান ইপিজেড ও কাফকো রয়েছে। কর্ণফুলি টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম পোর্টের সাথে এর দূরত্ব হবে মাত্র তিন কিলোমিটার। চীন সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে ডেভেলপার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে।
সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী এই জোনে সম্ভাব্য যে সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারে তা হলো: কেমিক্যাল, ফার্মাসিউটিক্যাল, গার্মেন্টস, টেলিযোগাযোগ, কৃষিনির্ভর শিল্পকারখানা, রাসায়নিক দ্রব্য, ডিজিটাল যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, প্লাষ্টিক পণ্য, আইটি ও আইটি সম্পর্কিত সেবা ইত্যাদি। প্রকল্প শেষ হলে আনুমানিক দুই লাখ বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে মর্মে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
আরএম/এমজেএফ