বুধবার (১২ জুলাই) রাতে জেনেভায় যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক স্টেট মিনিস্টার রোর্ড বাটিসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রফতানি আয় এখন ৩৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
‘বিল্ডিং ও ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। বিশ্বের সঙ্গে মিলিয়ে সময়োপযোগী শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ইপিজেড আইন সংশোধন করা হচ্ছে। ’
ব্রেক্সিটের কারণে বাংলাদেশসহ এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যনীতির কোনো পরিবর্তন হবে না, এমন ঘোষণার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ডিউটি ও কোটা ফ্রি এবং রুলস অব অরিজিন শিথিল সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা প্রয়োজন। ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য ও সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে চুক্তি বা যৌথ ইকোনমিক কমিশন গঠন করলে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়বে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক রোবার্তো আজিভেডো, ইউনাইটেড নেশন কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের মহাসচিব মুখিসা কিটুয়ি, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (আইটিসি) নির্বাহী পরিচালক আরানচা গনজালেজ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের সিনিয়র ডিরেক্টরের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এসই/এমএ