বৃহস্পতিবার সকালে মালিকপক্ষের আশ্বাস অনুযায়ী পাওনা নিতে টঙ্গী মিলগেট এলাকার গার্মেন্টসের সামনে জমায়েত হন শ্রমিকরা। কিন্তু সকালে গার্মেন্টস তালাবদ্ধ দেখে বিজিএমই'র উদ্দেশ্যে হেঁটে রওনা দেন প্রায় পাঁচশ’ শ্রমিক।
বেলা তিনটার দিকে তারা বিজিএমই ভবনের সামনে মিছিলসহ অবস্থান নেন।
শ্রমিক সজীব বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের পর গত আট তারিখে গার্মেন্টসে এসে দেখি, ভবন তালা দেওয়া। তখন মালিকপক্ষ জানায়, ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০ তারিখে সকলের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
'কিন্তু আজ সকালে গিয়ে আমরা গার্মেন্টস বন্ধ পাই। মালিকপক্ষ কোন সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় গার্মেন্টসের সামনে থেকে হেঁটে বিজিএমইএ’র উদ্দেশ্যে রওনা দেই আমরা। '
শ্রমিক একলিম হোসেন বলেন, নিয়মানুযায়ী গার্মেন্টস বন্ধ করতে হলে তিন মাস আগে জানাতে হবে অথবা তিন মাস ১৩ দিনের বেতন বুঝিয়ে দিতে হবে। আমাদেরকে তিনমাসের বেতনসহ সকল বকেয়া আজ দেওয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ কথা রাখেনি। '
এ অবস্থায় বেলা সোয়া তিনটার দিকে শ্রমিকদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে ভেতরে ডেকে পাঠায় বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২ ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদল বেরিয়ে আসে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে বিজিএমইএ'র অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মনসুর খালিদ, রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা শ্রমিকদের কথা শুনে মোবাইলে টপস এন্ড বটম মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মালিকপক্ষ বৈঠকে বসতে রাজি হয়।
বিজিএমইএ বৈঠকে জানায়, গার্মেন্টসটি নতুন ভবনে শিফট হবে। কোন শ্রমিক নতুন ভবনে কাজ করতে না চাইলে শ্রম আইন অনুযায়ী সকল পাওনা আদায় করে দেবেন তারা।
এ বিষয়ে আগামী ২৪ জুলাই বিকেল চারটায় বিজিএমইএ ভবনে ৩০ জন শ্রমিক, মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএ'র বৈঠক হবে। সে বৈঠকে এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেয় বিজিএমইএ।
পরে শ্রমিকদের প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে আগামী বৈঠকে অংশ নেবে এমন ৩০ জন সদস্যের তালিকা রাখে বিজিএমইএ।
বৈঠক শেষে শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি সাংবাদিকদের বলেন, আগামী সোমবার বৈঠক হবে, সে পর্যন্ত সকল শ্রমিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর পরপরই শ্রমিকরা বিজিএমই ভবনের সামনে থেকে নিজেদের অবস্থান তুলে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
পিএম/জেডএম