বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৫ নম্বর অডিটোরিয়ামে ‘১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস গ্লোবাল ও বুয়েটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘কেমিক্যাল সেফটি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট: বাংলাদেশ পারস্পেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক সায়েদা সুলতানা রাজিয়া বলেন, রাসায়নিক পদার্থের মোড়কের গায়ে নাম ও সতর্কতা বাণী এবং কেমিক্যাল হরমোনাইজ সিস্টেম নিয়ে উন্নত বিশ্বে কল-কারখানাগুলোতে ব্যাপক নিয়মকানুন মেনে চলা হলেও বাংলাদেশে এ বিষয়ে কোনো প্ল্যানই নেই।
বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, সাধারণত বড় বড় কেমিক্যাল দুর্ঘটনাগুলো পত্র-পত্রিকা বা সংবাদ মাধ্যমের কারণে আমাদের নজরে আসে। কিন্তু ছোট ছোট অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। যেগুলো আমরা জানতেই পারি না। কিন্তু ওই দুর্ঘটনাগুলো আমাদের বৈদেশিক গ্রাহকদের নজরে ঠিকই আসছে। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীতে দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছিলেন। এই হতাহত হয়েছিলো দাহ্য পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার কারণে। ২০১১ সালের ১৬ অক্টোবর ‘গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল’ কোম্পানিতে ক্লোরিন লিকেজের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও রাসায়নিক পদার্থের কারণে শ্রমিকদের ওপরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অগ্নিনির্বাপণ করতে অনেক সময় লেগেছিল। কারণ সেখানে ব্যাপক পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি ছিল। আর এসব দুর্ঘটনা ঘটার মূল কারণই হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থগুলো সংরক্ষণ ও ব্যবহারের সঠিক নিয়ম অনুসরণ না করা।
অধ্যাপক সায়েদা সুলতানা রাজিয়া বলেন, শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর এই ধরনের বিষয় নিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তেমন কোনো পড়াশোনা করানো হয় না। এমনকি কল-কারখানাগুলোতে এ বিষয়ে কোনো দক্ষ লোকও পাওয়া যায় না। বুয়েটে এ বিষয়ে পড়ানো হয় এবং টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ট্রেনিং-এর সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিৎ।
এ সময় তিনি রাসায়নিক পদার্থের জীবনচক্র ব্যাখ্যার মাধ্যমে কীভাবে এ দূরাবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এমএএম/এমজেএফ