সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে কাপড়গুলো জব্দ করা হয় বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত ২১ আগস্ট ভোরে রাজধানীর ইসলামপুর এলাকা থেকে শুল্ক গোয়েন্দার দল বন্ডেড সুবিধায় আমদানি করা কাপড়বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো- ট ১৪-২৮২৩) আটক করে।
বিদেশে পণ্য রফতানি উৎসাহিত করতে রফতানিযোগ্য পণ্যের কাঁচামাল শুল্কমুক্তভাবে আমদানির জন্য ‘বন্ডিং সুবিধা’ দিচ্ছে সরকার। কিন্তু কিছু ব্যক্তি এই শুল্কমুক্ত পণ্য দিয়ে বন্ড লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী গার্মেন্টস তৈরি করে রফতানি না করে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে এসব পণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে।
মইনুল খান আরও বলেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করায় সরকার একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনিভাবে দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্য চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া আটক পণ্য হচ্ছে শতভাগ পলিয়েস্টার ফেব্রিক্স যা ‘মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লি., ৯১, ধউর, থানা রোড, তুরাগ, ঢাকা’ ঠিকানায় আমদানি করা হয়েছে।
জব্দ করা পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এই পণ্যে শুল্ককর ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে শুল্ক গোয়েন্দার প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিটি ২০১৫ থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ১২৬ কোটি টাকার বন্ডে কাপড় আমদানি করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি রফতানি করেছে মাত্র ২১ কোটি টাকা। ১০৫ কোটি টাকার কাপড় কোথায় ও কীভাবে ব্যবহার হয়েছে তা শুল্ক গোয়েন্দা গভীরভাবে তদন্ত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
এসজে/আইএ