তারপরও থেমে নেই কাঁচা চামড়া কেনা।
রোববার (০৩ সেপ্টেম্বর) ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেলে শহরের কাঁচা চামড়ার আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, লবণের সংকটে অনেক চামড়া পড়ে আছে।
আড়তদারদের অভিযোগ, ছোট ট্যানারি মালিকরা এবার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লোক দিয়ে চামড়া কিনছেন। পাশাপাশি চামড়ার দাম কম থাকায় অনেক চামড়ায় লবণ দিতে পারছেন না তারা।
চামড়া ব্যবসায়ী কুতুব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘৯ থেকে ১০ হাজার কোরবানির পশুর চামড়া কিনেছি। এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০০ থেকে ৮০০ চামড়ায় লবণ দিতে পারিনি। বেলা ১১টায় মনে হচ্ছিল, আমরা লবণের ব্যবস্থা করতে পারবো। কিন্তু শেষদিকে লবণের সংকট ও দাম বেশি দাম থাকায় কিনতে পারিনি’।
চামড়া ব্যবসীয় মো. সবুজ হোসেন বলেন, ‘আমি এ বছর আকার ও আকৃতিভেদে ছোট-বড় পশুর চামড়া কিনেছি ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দরে। প্রায় ১০ লাখ টাকার চামড়া কিনেছি। কিন্তু এখনও ৭০০ থেকে ১ হাজার পশুর চামড়ায় লবণ দিতে পারিনি’।
‘এতে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। আমার যেখানে প্রয়োজন ৫ ট্রাক লবণ, সেখানে পেয়েছি ২ ট্রাক। লবণ না থাকায় চরম লোকসান গুণতে হচ্ছে’।
তবে আড়তদাররা বলছেন, ‘কোরবানির প্রথম দিন থেকে শুরু করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহ করবো। কিন্তু এবার লবণের দাম বাড়ায় চামড়ার দাম কমেছে। প্রতি পিছ চামড়া ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা’।
মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়ার দাম কম। সরকারের নির্ধারিত দামেও কিনছেন না আড়তদাররা। ফলে লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদেরকে।
মশিয়ার হোসেন আড়তের মালিক বলেন, ‘অনেক চামড়া আসেনি। প্রতি ফুট ৪০-৪৫ টাকা দরে কিনেও এখন লবণ দিতে পারছি না’।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৭
এএসআর