এছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২৫ টাকা, ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা ও মহিষের চামড়া প্রতি বর্গফুট ২৫ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনে ট্যানারি মালিকদের কাছে উপযুক্ত দামে বিক্রি করতে পারছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে সাভার চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শনকালে দেখা গেছে সেখানের অধিকাংশ কারখানার এখনো অবকাঠামো নির্মাণই শেষ হয়নি।
বাকী যেগুলো চালু হয়েছে তারও অধিকাংশ কারখানা পুরোপুরি উৎপাদন শুরু করতে না পারায় চামড়ার ক্রেতাও কম বলে জানা গেছে। আর এ কারণেই চামড়ারর দাম কম বলে দাবি করছেন অনেকেই।
‘বে’ ট্যানারি গ্রুপের লেদার ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, চামড়া কিনবে এমন ট্যানারি কই? হাজারীবাগে ১৫৫টি ট্যানারি ছিলো। এখানে প্লট নিয়েছে ১৫৪টি। এর মধ্যে ৭০টি ট্যানারি ব্যবসা শুরু করলেও পুরোপুরি প্রডাকশনে গেছে ২০টির মতো কারখানা। তাই চামড়ার ক্রেতা কম থাকায় দামও কম। তাহলে সারাদেশের কোরবানির পশুর চামড়ার কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কারখানাগুলো চালু আছে এগুলোই সব চামড়া কিনে নিতে পারবে। তাছাড়া ভালোভাবে লবণ দিয়েই তিনমাস চামড়া সংরক্ষণ করা যায়। যে মালিকরা এখানে কিনছে না তারা তাদের প্রতিনিধি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চামড়া কিনছে বলেও জানান মোস্তফা।
তবে কারখানার অ্যাডমিন ইনচার্জ আজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, 'আমরা চামড়া বিদেশে পাঠানোর কাজ করি। কিন্তু আমাদের চাহিদা অনুযায়ী কোয়ালিটির চামড়া পাচ্ছি না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যে চামড়া আসছে তার বেশিরভাগ চামড়ার কোয়ালিটি ভালো না। চামড়ায় ভালোভাবে লবণ দেওয়া হয়নি, কোনোটায় ছুরির আঁচড় রয়েছে তাহলে ভালো দাম কিভাবে দেবো?
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭
এসআইজে/এএটি/