ব্রিটেনের এই বহুজাতিক কোম্পানিটি গত জুলাইয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটকে লেখা এক চিঠিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে ১৯২৪ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি বিতর্ক অবসানের আগ্রহ প্রকাশ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আলিসন ব্লেকও গত মাসের শুরুর দিকে একটি চিঠি দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে।
ওই চিঠিতে তিনি বলেন, আপনি আদালতের বাইরে একটি বন্দোবস্তে পৌঁছুতে এনবিআরকে আইনমন্ত্রী ও এটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকের পরামর্শ দিয়েছিলেন। বৈঠকটি হয়নি। কিন্তু বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সবসময়ই আদালতের চেয়ে কম আনুষ্ঠানিক। সময় কম লাগে। খরচও কম।
যদিও এনবিআর এর পক্ষে থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলমান থাকায় তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।
এ প্রসঙ্গে বৃহৎ করতা ইউনিটের কমিশনার মো. মতিউর রহমান বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আদালতের বাইরে কোনো বন্দোবস্ত করা এখন সম্ভবই নয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানও বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই আইনের মাধ্যমেই এর নিষ্পত্তি হবে।
তবে বিএটিবি প্রতি বছর সরকারকে মোটা অঙ্কের কর দেয় বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
জেডএম/