সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে যশোরের নাভারণ এলাকার সাতক্ষীরা মোড়ে বিড়ি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ যশোর শাখা আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
এমকে বাঙ্গালী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই দেশে বিড়ি শিল্প ছিলো।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, বিএটিবি তথা ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির সঙ্গে আঁতাত করে একটি মহল বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। এ কারণে প্রতিবছরই বিড়ি শিল্পের ওপর ট্যাক্স তথা কর বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু দেশীয় এই শিল্পকে রক্ষায় আমরা পিছপা হবো না।
সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের বাপ-দাদার আগের প্রজন্মও এই বিড়ি শিল্পে জড়িত। হঠাৎ করেই একটি মহল কেন বিড়ি শিল্প ধ্বংস করতে চায়, সেটার পেছনের রহস্য বের করতে হবে। এর পেছনে কোনো মহল জড়িত নাকি সরকারের কোনো কর্মকর্তা জড়িত সেটা বের করতে হবে।
অন্যদিকে ২০০৪ সালে সরকার যখন বিড়ি বন্ধ করতে চেয়েছিলো, তখনও আমরা রাজপথে ছিলাম। এবারও আমরা বিড়ি বন্ধের ষড়যন্ত্র রোধে রাজপথে থাকব।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিড়ি শ্রমিক নেত্রী মায়া বেগম বলেন, বিড়ি শিল্প বন্ধ করে আমাদেরকে ভিখারী বানাবেন না। আমরা ভিক্ষা চাই না, কাজ করে খেতে চাই। আমাদের কয়েক প্রজন্ম যেখানে বিড়ি শিল্পে যুক্ত আপনি সেই শিল্পকে বন্ধ করবেন না।
এদিকে সকালে শতশত বিড়ি শ্রমিক যশোর থেকে নাভারণ পর্যন্ত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে রোড শো’তে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৫ নভেম্বর) বাগেরহাট থেকে বিড়ি শ্রমিকদের রোড শো শুরু হয়েছে। আগামী ৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জে শেষ হবে প্রথম পর্বের রোড শো।
সমাবেশে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি’র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, সদস্য হারিক হোসেন, শামীম রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৭
এসজে/জেডএম