ফলে কোরবানির ঈদের পর চলতি আমন মৌসুমে আরেক দফা ধান কাটার কাস্তে তৈরির ব্যস্ততা বেড়েছে নীলফামারীর কামারদের। কামারশালাগুলোতে দিন-রাত সমানে কাজ করে চলেছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নীলফামারী সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলার সর্বত্র এখন জোরেশোরে চলছে ধান কাটা-মাড়াই। কামারশালাগুলোতে শোনা যাচ্ছে হাঁতুড়ি পেটানোর খট খট আর হাঁপরের ফুস ফুস শব্দও। ব্যস্ত কৃষিশ্রমিকেরা পুরো মৌসুমে ধান কাটতে এক একজন ২/৩টি করে কাস্তে ব্যবহার করেন। তারা একজনের কাস্তে অন্যজনকে দিতে চান না। তাই সারাদিন কাজ শেষে নিজের পছন্দসই কাস্তে কিনতে বা বানাতে সন্ধ্যার পরেই ভিড় করছেন কামারশালগুলোতে।
প্রতিটি কাস্তের পাইকারি মূল্য ২৩-২৬ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা সেগুলো কিনে হাটে-বাজারে ৩০/৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
কামারেরা জানান, কর্মীদের সহায়তায় প্রতিদিন এক একজন ২৫ থেকে ৩০টি করে কাস্তে তৈরি করতে পারেন। কেউ কেউ এর চেয়েও বেশি বানিয়ে থাকেন। লোহার মূল্যবৃদ্ধিতেই তাদের তৈরি করা কাস্তেসহ অন্য পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এএসআর
** গাঁও-গেরামে এখন আমন ঘরে তোলার উৎসব