রোববার (২৬ নভেম্বর) টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বর্ণ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি মনে করে, শুল্ক কমানোর পাশাপাশি স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা হলে বৈধ পথে আমদানি বাড়বে।
বিভিন্ন সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চোরাচালানের স্বর্ণ জব্দ করা হয়। যার সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বৈধ-অবৈধ উপায়ে দৈনিক প্রায় ২৫ কোটি টাকার স্বর্ণ লেনদেন হচ্ছে। চাহিদার সিংহভাগ স্বর্ণ আসে চোরাচালানের মাধ্যমে। চোরাচালানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ সক্রিয় হলেও প্রকৃতপক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির খুবই কম।
নীতিমালা হলে সংকটের সমাধান হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। টিআইবি তাদের গবেষণায় ১৫টি ক্ষেত্রে ৯০টি সুপারিশ পেশ করেছে। যার কপি সরকারকেও দেওয়া হয়েছে। যেগুলোর বাস্তবায়ন স্বর্ণশিল্পে গতি আনবে সঙ্গে চোরাচালান রোধ করবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
রফিকুল ইসলাম প্রতিবেদন পাঠ করেন। এটি পরিচালনায় ছিলেন, মো. রফিকুল হাসান, মো. রেযাউল করিম এবং অমিত সরকার।
গবেষণায় বলা হয়, ধারণা হয় যায়; বাংলাদেশে বছরে স্বর্ণের চাহিদা সর্বনিম্ন ২০ টন থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টন।
অভ্যন্তরীণ বাজারে বিভিন্ন ক্যারেটের যে গহনা বিক্রি করা হয় বাস্তবে তাতে কী পরিমাণ বিশুদ্ধ (খাদমুক্ত) স্বর্ণ থাকে তা পরিবীক্ষণ ও তদারকিতে সরকার অনুমোদিত ব্যবস্থা নেই। ফলে অতিরিক্ত খাদ মিশিয়ে ও অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করে ক্রেতাদের প্রতারিত করার সুযোগ রয়েছে বলেও সংস্থাটি তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
/আইএ