শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১৩তম ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো’র তৃতীয় দিনে এমন কথা বলেন জিয়াংজু হেরিটেজের কর্ণধার মো. শফিউল আলম।
সেমস গ্লোবাল ইউএসএ ও সিসিপিআইটি চায়না যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
শফিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ফেব্রিক মেলায় আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। যে ফেব্রিক পণ্য আমাদের চায়নাতে গিয়ে খুঁজতে হতো সেটি আমরা এই মেলায় খুঁজে পাচ্ছি। একই সঙ্গে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে এবং একাধিক পণ্য পাচ্ছি। আমরা যারা গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অবশ্যই এ মেলা আমাদের সহায়তা করছে। অন্যদিকে বিদেশি কটন ফেব্রিকগুলো আমাদের দেশে তৈরি হয় না, যা এ মেলায় এসেছে। এতে করে যারা বিদেশ থেকে ফেব্রিক পণ্য আমদানি করতো তাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে।
মেলায় কথা হয় একটি বায়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুদ্দিন আহমেদ কামালের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ মেলায় অনেকগুলো দেশ অংশ নিয়েছে। এতে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প তথা গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়ন হবে। এর কারণ বিদেশিরা এখন বাংলাদেশে আসছে। এ মেলায় আমরা একাধিক ফেব্রিক পণ্য পাচ্ছি। যেভাবে দেখে দেখে অর্ডার করতে পারছি সেটা বিদেশে গিয়ে হয় না। কারণ সেখানে আমাদেরকে যে পণ্য দেখানো হয় সেটাই মাত্র আমরা দেখছি। কিন্তু মেলায় একাধিক আইটেম থাকায় আমরা পছন্দ মতো বেঁছে নিতে পারছি।
গুয়াংডং গ্রুপের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় তাদের বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক পণ্য সর্বনিম্ন ১ দশমিক ৩৫ ডলার থেকে ৩ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। মেলাতে আশানুরূপ সাড়াও পাচ্ছেন। বাংলাদেশের নামকরা কয়েকটি ব্র্যান্ডও তাদের ফেব্রিক ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, এই ফেব্রিক শো দেশের গার্মেন্টস শিল্পের অগ্রসরে দারুণ ভূমিকা রাখবে। যারা ফেব্রিক নিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য মেলাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আন্তর্জাতিক এ মেলায় ৫ হাজারের বেশি ফেব্রিক আইটেম প্রদর্শনী হচ্ছে। ফলে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বায়াররা এক ছাদের নিচেই পছন্দের পণ্যটি বেঁছে নিতে পারছেন।
অন্যদিকে যারা ফেব্রিক পণ্য আমদানি করে দেশে বিক্রি করেন তাদের পরিচিতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এই মেলা- বলেন আতিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এসজে/জিপি