ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

২৩৫ রকমের পাটপণ্য নিয়ে মেলা ৬-৮ মার্চ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
২৩৫ রকমের পাটপণ্য নিয়ে মেলা ৬-৮ মার্চ

ঢাকা: বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘জাতীয় পাট দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে সরকার। দিবসটি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী পাট পণ্যের মেলা ছাড়াও থাকছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

আগামী ৬-৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত মেলায় ২৩৫ রকমের বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস’-এ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।


 
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম কর্মসূচি তুলে ধরেন।
 
‘সোনালী আশেঁর সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ’- প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার দিবসটি উদযাপিত হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাট দিবসের গুরুত্ব ও পাট সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্কুলের শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। দুই গ্রুপে এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছয়জনকে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ১১টি ক্যাটাগরিতে আরও ১২ জন ব্যক্তির হাতে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার তুলে দেবেন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে ১ মার্চ মানিকমিয়া এভিনিউ থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে ফরিদপুর পর্যন্ত রোড-শো এবং ২ মার্চ মানিকমিয়া এভিনিউ থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুর পর্যন্ত রোড-শো হবে।
 
এছাড়া ৩ মার্চ হাতিরঝিলে নৌ-র‌্যালি, ৪ মার্চ জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে কবিতা পাঠের আসর, ৫ মার্চ সিরডাপ মিলনায়তনে সেমিনার, ৬-৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাটপণ্যের মেলা, ৭ মার্চ ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাপনী অনুষ্ঠান রয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপে আলোকসজ্জা এবং পাটপণ্য দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
 
দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাট খাতের উপর নির্ভরশীল জানিয়ে আজম বলেন, পাটখাতের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ এবং নিরন্তর প্রচেষ্টায় পাট ও পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
প্রসঙ্গক্রমে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজেএমসি স্বীকৃত দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, এটা হওয়ার পেছনে অতীতের জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকারের হাত রয়েছে। অতীতের থেকে বিজেএমসিতে দুর্নীতির মাত্রা কমেছে দাবি করে আজম বলেন, এজন্য গতবারের চেয়ে চলতি বছর লোকসানের মাত্রা ১৮০ কোটি টাকা কমিয়েছি।
 
এক বছর আগেও বহুমুখী পাটপণ্যের সংখ্যা ১৩৫টি থাকলেও বর্তমানে তা ২৩৫টিতে দাঁড়িয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
 
বিএনপি সরকারের আমলে আদমজী জুটি মিল বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে বিজেএমসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলেছে এবং বিভিন্ন সরকারের আমলে বিজেএমসিকে দুর্নীতিগ্রস্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
 
বস্ত্র ও পাট সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান ছাড়াও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮/আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।