ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

বিড়ি শিল্প ধ্বংসে ষড়যন্ত্র চলছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৮
বিড়ি শিল্প ধ্বংসে ষড়যন্ত্র চলছে সংবাদ সম্মেলনে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ধূমপান বন্ধের নামে বিড়ি শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তামাক জাতীয় পণ্যের বাজার তুলে দিতে এদেশের কতিপয় প্রতিষ্ঠান ষড়যন্ত্র করছে। ধূমপান বন্ধ করতে হলে শুধু বিড়ি নয়, সিগারেটকেও বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণা করতে হবে।

রোববার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।
 
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম কে বাঙ্গালীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন-বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, পাবনা জেলা বিড়ি শ্রমিক মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেন, নেত্রকোণা জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাশেম আলী ও বরিশাল কারিগরি বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রণব চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।


 
সভাপতির বক্তব্যে এম কে বাঙ্গালী বলেন, বিড়ি শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। এসব শ্রমিকদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা না করে বিড়ি শিল্প বন্ধ করা হলে এরা না খেয়ে মারা যাবে।

তিনি বলেন, ধূমপান যদি বন্ধ করতে হয়, তাহলে কেন শুধু বিড়িকে ধ্বংস করতে হবে। ধূমপানে ক্ষতি হয় আমরা স্বীকার করি, কিন্তু শুধু বিড়ি বন্ধ করে কি ধূমপান বন্ধ হবে? এটা দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।  
 
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানি ষড়যন্ত্র করে বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।  
 
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশে প্রতি বছর ৬৫ হাজার কোটি থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার ধূমপান সামগ্রী তৈরি ও বিক্রি হয়। এরমধ্যে ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার বিড়ি এবং ৫০ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকার সিগারেট উৎপাদনের মাধ্যমে সাধারণ ক্রেতাদের পকেট কাটা হচ্ছে। ধূমপান একটি দেশ ও জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার একটি অপকৌশল। তাই জাতীয় বৃহত্তর সার্থে ধূমপান তথা তামাকজাত পণ্য বন্ধ হউক আমরাও চাই। কিন্তু ধূমপান প্রতিরোধ ও বন্ধের অজুহাতে শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর বিড়ি শিল্পকে বন্ধ করে বিদেশি কোম্পানি এবং আমদানি নির্ভর সিগারেট শিল্পকে ব্যবসা করার অবাধ সুযোগ দেওয়া হলে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮
এসএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।