ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের সোশ্যাল মার্কেটপ্লেস ‘দর্পণ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের সোশ্যাল মার্কেটপ্লেস ‘দর্পণ’ দর্পণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: মৌলিক নকশা ও সৃজনশীল হস্তশিল্পের জন্য ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস হিসেবে পথচলা শুরু করেছে ‘দর্পণ’। www.mydorpon.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উৎপাদকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য কেনার সুযোগ ও উৎপাদককে সঠিক দাম দেওয়ার প্রত্যয়ে অনলাইন এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছে। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানের অ্যাডভান্স ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস'র কনফারেন্স রুমে দর্পণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।  

দর্পণের মতে, দেশের হস্তশিল্পের মাধ্যমে উৎপাদকরা ২০ ভাগ দামও পান না।

কারণ সেখানে বিক্রেতারা সরাসরি ক্রেতাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকেন না। কিন্তু দর্পণে বর্তমানে প্রায় ১০০ জন বিক্রেতা এক হাজার পণ্যের সমাহার নিয়ে সরাসরি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকেন। ওয়েবসাইটে ক্রেতাদের পছন্দনীয় পণ্য অর্ডার করলে প্রদত্ত ঠিকানায় বিক্রেতারা নিজে অথবা দর্পণের কর্মীরা কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি পৌঁছে দেন। মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ডেলিভারির পর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে। একটি পণ্যের নির্ধারিত মূল্যের মাত্র ১৫ ভাগ টাকা নিচ্ছে দর্পণ, বাকিটা পাচ্ছেন বিক্রেতা বা উৎপাদক। এক্ষেত্রে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প পণ্যগুলো টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও সঠিক অবদান রাখছে দর্পণ। ঢাকাসহ সারাদেশে এসব দেশীয় পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে।

দর্পণের সিইও ফিরোজ খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ রুমি আলী, জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, অভিনেতা তারিক আনামসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

সিইও ফিরোজ খান বলেন, দেশে এরকম মার্কেটপ্লেস এই প্রথম। এর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি হওয়ার ফলে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না। এ কারণে উৎপাদকরা তাদের প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নিতে পারছেন না। কিন্তু কেউ তার ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকবে। যার মাধ্যমে তারা পরবর্তীতে ঋণও নিতে পারবেন। এছাড়া এটি দেশের অর্থনীতিতেও একটি প্রভাব রাখবে।  

তিনি বলেন, পণ্যের মানোন্নয়নে আমরা উৎপাদকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। আবার উৎপাদন এবং পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দর্পণ ব্লগে ভিজিট করা যেতে পারে। আর বিক্রিত মাল ফেরত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের তিনদিনের সময়সীমা রয়েছে। অর্ডার করার পর ক্রেতার পণ্যটি পছন্দ না হলে তিনদিনের মধ্যে ফেরত দিতে পারবেন অথবা ডেলিভারি হওয়ার সময় ফেরত দিতে পারবেন। আমাদের এই উদ্যোগের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই সৃজনশীল হস্তশিল্পের উৎপাদকের ক্ষমতায়ন করা ও বাংলার এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখা।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সারাদেশে দর্পণের কারিগরদের মাধ্যমে তৈরি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি হস্তশিল্প এবং ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠীদের হাতের তৈরি পণ্য প্রদর্শিত হয়। এরমধ্যে ঢাকাই জামদানি, হাতে তৈরি গয়না, বিভিন্ন পাটজাত দ্রব্য, নকশিকাঁথা, রিকশা চিত্রশিল্প অন্তর্ভুক্ত ছিলো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা,মে ১৪,২০১৮
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।