সিপিডি আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেছেন লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসির খান।
তিনি বলেন, “ওদের সামলান, না হলে আমরা আর পারছি না।
দুর্নীতি বন্ধ করান মাননীয় প্রতিমন্ত্রী। ১৯৮৫ সালে ভিয়েতনামের রপ্তানি আয় ছিলো ১ বিলিয়ন ডলার। আর এখন তাদের রপ্তানি আয় ২০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। আমরা দুর্নীতির কারণে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছি না। ”
জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেন, “৫ দিন আগে উত্তরবঙ্গ থেকে একটি ফোন আসে। আমাকে বলা হয় একজন পরিদর্শক মামলার হুমকি দিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে চলে গেছেন। আমি সেই পরিদর্শককে বদলি করে দেই।
পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম, আসল ঘটনা হচ্ছে স্টোরে ৮০ কেজি ওজনের বস্তা পাওয়া গেছে। কিন্তু পুরুষের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ কেজি ও নারীদের জন্য ৩০ কেজি ওজনের বস্তা হওয়ার কথা। কিন্তু কারখানাটি তা মেনে চলেনি। ”
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ওই কারখানার মালিক যদি নিয়ম মানতেন তাহলে কিন্তু ঘুষের প্রশ্ন আসতো না। আগে আপনাদের সৎ হতে হবে। ডে কেয়ার সেন্টার করার কথা করেন না। আপনারা অনিয়ম করেন বলে ওরা মামলার ভয় দেখায়। ওরা মনে করে মামলা দিয়ে লাভ কী? মামলা দিলে মন্ত্রীকে ফোন করবেন। তার চেয়ে ১০ হাজার টাকা পেলে মন্দ কী!
মঙ্গলবার (১৫ মে) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এ সংলাপে অংশ নেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সেক্রেটারি জেনারেল ওয়াজেদুল ইসলাম খান ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
সিপিডির মতে ঝুঁকিতে শিল্পখাত, চিন্তিত নয় বিজিএমইএ
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এসআই/এমজেএফ