বুধবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় কয়েক হাজার শ্রমিকের উপস্থিতিতে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। এসময় ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক এমকে বাঙালি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক হেরিক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় এনবিআর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে সারাদেশ থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। এসময় বক্তারা আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে তাদের চার দফা দাবি বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেন।
দাবিগুলো হলো- দেশে সিগারেট যতোদিন থাকবে, বিড়ি শিল্পও ততোদিন থাকবে। ভারতের মতো বিড়ি শিল্পকে ‘কুটির শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ভারতের মতো প্রতি হাজার বিড়িতে শুল্ক ১৪ টাকা করতে হবে। যে সকল বিড়ি কারখানা ২০ লাখ শলাকার কম উৎপাদন করে তাদের করমুক্ত রাখতে হবে।
মানববন্ধনে আমিন উদ্দিন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বিড়ি শিল্প বৈষম্যের শিকার। এ কারণে এই শিল্পের শ্রমিক-কারখানা প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। অসহায় হয়ে পড়ছে লাখ লাখ শ্রমিক। বিশেষ করে নদী ভাঙন এলাকা, মঙ্গা অধিভুক্ত এলাকা, যেখানে বেলে মাটিতে তামাক ছাড়া অন্য ফসল হয় না সেখানকার চাষী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা নিদারুণ দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। অথচ পাশের দেশ ভারত বিড়ি শিল্পকে ‘কুটির শিল্প’ ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমজীবী মানুষের একমাত্র আশ্রয় ও ভরসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করি তিনি এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দিবেন।
এমকে বাঙালি বলেন, দেশে বিড়ি বন্ধ করলে পাশের দেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে বিড়ি ঢুকবে। এতে সরকার রাজস্ব হারাবে, বিড়ি শ্রমিকরা হারাবেন তাদের দুমুঠো ভাতের যোগাড়। অসহায় হয়ে পথে বসবেন নিরীহ বিড়ি শ্রমিকরা।
এদিকে, ভোটের বছরে বিড়ি শিল্পকে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে সরকারকে বিতর্কিত করার পায়তারা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন বক্তারা। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কখনও শ্রমিকের পেটে লাথি দিতে পারে না। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আড়াল করতেই এক শ্রেণির সুবিধাবাদী লোক এই শিল্পকে বন্ধ করতে ওঠেপড়ে লেগেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
টিএ