ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

বিড়িকে ‘কুটির শিল্প’ ঘোষণাসহ চার দফা দাবি শ্রমিকদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
বিড়িকে ‘কুটির শিল্প’ ঘোষণাসহ চার দফা দাবি শ্রমিকদের মানববন্ধনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী অঞ্চলের নেতারা/ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে বিড়িকে ‘কুটির শিল্প’ ঘোষণাসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী অঞ্চলের নেতারা।

সোমবার (২৮ মে) দুপুর ১২টা থেকে রাজশাহী মহানগরীর উপশহরে অবস্থিত কর কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিকরা বলেন, তারাও ধূমপানের পক্ষে নন, কিন্তু ধূমপান বন্ধে বিড়ির বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ তা সিগারেটের বিরুদ্ধে নেই।

এতো বৈষম্য কেনো? দেশে ৬০ হাজার কোটি টাকার সিগারেটের তামাক বছরে ছাই হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের ট্যাক্স বাড়ছে না। অথচ বছরে ৪ হাজার কোটির বিড়ি শিল্পের ওপর ট্যাক্স বাড়ছে।

তারা এ দ্বি-মুখী নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। দেশের ২০ লাখ শ্রমিকের পক্ষে কথা বলছেন। কারণ তারা সরকারের কোনো রকম সাহায্য ছাড়াই গড়ে ওঠা বিড়ি শিল্পে শ্রম দিয়ে যুগ যুগ ধরে নিজেদের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছেন। অথচ দেশের হতদরিদ্র, অসহায়, অচল শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে গড়ে ওঠা এ শিল্পটি গত কয়েক বছর ধরে বিশেষ একটি মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

তাই তারা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তাদের দাবিগুলো হলো- বাংলাদেশে সিগারেট যতোদিন থাকবে, বিড়ি শিল্পও ততোদিন থাকবে, ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পকে ‘কুটির শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে, প্রতি হাজার বিড়িতে ১৪ টাকা শুল্ক নির্ধারণ ও যে সব বিড়ি কারখানা ২০ লাখ শলাকার কম উৎপাদন করে তাদের করমুক্ত ঘোষণা করা।

মানববন্ধন শেষে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশেনের নেতারা কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে তাদের দাবি তুলে ধরতে রাজশাহী কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন।

এ সময় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী জেলা সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও নওগাঁ জেলা সদস্য তারেক আব্দুল্লাহ, সালাহ উদ্দিনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।