বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে পোশাক কারখানার জন্য গঠিত ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর-কমিটির সভায় এ আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী কারখানার সক্ষমতা ভেদে চলতি মাসের আংশিক বেতন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৯ আগস্টের মধ্যে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মালিকদের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ দিন হোক আর ১৫ দিনের হোক বেতন শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতে ১৯ তারিখের মধ্যে দেওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে কারখানা মালিক যেন পবিত্র ঈদের দিন কোনো শ্রমিককে কাজে না লাগান সে বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমইএ নেতাদের পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কমপ্লায়েন্স কারখানায় বেতন বোনাস নিয়ে কোনো প্রকার সমস্যা নেই। ছোটখাট দু’একটি কারখানায় অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিপ্তর, শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শ্রমিক সংগঠনগুলো সতর্ক রয়েছে। আশা করা যায়, ঈদুল আজহা গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বোনাস ছুটিসহ যাতায়াত সাচ্ছন্দপূর্ণ এবং আনন্দঘন হবে।
সভায় কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা এবং ঈদের আগে রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখার স্বার্থে সেক্টর এবং এলাকাভিত্তিক সমন্বয় করে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভার সিদ্ধান্তের প্রতি মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, বিজিএমইএ'র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আব্দুল মান্নান কচি, বিকেএমইএ'র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা জামান পাশা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিকদের মধ্যে গার্মন্টস ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড ফেডারেশনের সভাপতি রায় রমেশ চন্দ্র, গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি লিমা ফেরদৌস, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্ট-শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতা সভায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮, আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা
এমআইএইচ/ওএইচ/আরবি/