জানা গেছে, এ বছর সোনালী ব্যাংক ১৫০ কোটি, জনতা ৩শ’ কোটি, অগ্রণী ৩৫০ কোটি ও রূপালী ব্যাংক ২শ’ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে। তবে যেসব ট্যানারি মালিক গত বছরের সব টাকা পরিশোধ করেছেন তাদেরকে চাহিদামত ঋণ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, ট্যানারি মালিকদের আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধ করার পরই নতুন করে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তাই যে ট্যানারি যে পরিমাণ টাকা পরিশোধ করেছে তাকে ওই পরিমাণই ঋণ দেওয়া হবে।
সোনালী ব্যাংক এ বছর ১৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে। গতবছরও একই পরিমাণ টাকা বিতরণ করেছিল ব্যাংকটি। তবে শেষ সময়ে এসে ট্যানারি মালিকরা ব্যাংকের দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে ঋণের পরিমাণ আরও ৫০ কোটি টাকা বাড়তে পারে। সোনালী ব্যাংকের গত ৬ বছরে বিতরণ করা ৮১৩ কোটি টাকার মধ্যে বকেয়া হয়েছে ৪শ’ কোটি আর খেলাপি হয়েছে ৪২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, এ বছর অগ্রণী ব্যাংক চামড়া কিনতে ৩৫০ কোটি টাকা বিতরণ করবে। গত বছর বিতরণ করেছিল ১৫০ কোটি টাকা। ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটি ট্যানারি মালিকদের চামড়া কিনতে ঋণ দেয় ৯১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বকেয়া রয়েছে ৫শ’ কোটি টাকা আর, খেলাপি হয়েছে ৮১ কোটি টাকা।
চামড়া কিনতে জনতা ব্যাংক এ বছর ৩শ’ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে। গত বছরও বিতরণ করেছিল একই পরিমাণ অর্থ। গত ৫ বছরে বিতরণ করা ১২৬৫ কোটি টাকার মধ্যে বকেয়া রয়েছে ৮১৬ কোটি, আর খেলাপি হয়েছে ৯৪ কোটি টাকা।
৫ বছরে চামড়া কিনতে রূপালী ব্যাংকের বিতরণ করা ৪০২ কোটি টাকার মধ্যে বকেয়া হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। গত বছর রূপালী ব্যাংক বিতরণ করেছিল ১৮৫ কোটি টাকা। এ বছর আরও ১৫ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান যাতে নতুন করে ঋণ না পায় সেজন্য নজরদারি করছে ব্যাংকগুলো। অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বিগত সময়ে যারা ঋণ নিয়ে সময়মতো ফেরত দিয়েছেন তাদেরকে। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে গ্রাহককে যাচাই বাছাই করারও নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসই/জেডএস