বড় বিক্রেতারা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে মহাজনদের কাছে তাদের কোটি-কোটি টাকা বকেয়া পড়ে থাকায় তারা ন্যায্য মূল্যে চামড়া কিনতে পারছেন না।
সাধারণ চামড়া বিক্রেতারা বলছেন, তারা বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা দরে এক একটি গরুর চামড়া কিনেছেন।
এদিকে ছাগলের চামড়া দাম নেই বললেই চলে।
সাধারণ গৃহস্থরাও বলছেন, বিক্রেতারা চামড়ার দামই বলছেন না। যে কারণে বাধ্য হয়ে তারা পানির দরে চামড়া বিক্রি করছেন। যদিও সরকার গরু চামড়া ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ফুট মূল্যে নির্ধারণ করেছে।
বাদশা মিয়া নামে এক ক্ষুদ্র বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, সরকারের নির্ধারিত মূল্যের উপর ভরসা করে তিনি গ্রাম থেকে ১২ থেকে ১৫শ টাকা দরে এক একটি গরুর চামড়া কিনেছিলেন। কিন্তু মাগুরায় এনে তাকে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে ৪শ থেকে ৫শ’ টাকায় প্রতি পিস চামড়া বিক্রি করেছেন। ছাগলের চামড়া প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৫০ টাকা করে। বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে তা কিনছেন।
নূরুর হোসেনসহ একাধিক বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, তারা নগদে কিনে ও বাকিতে চামড়া বিক্রি করে থাকেন। মহাজন ও ট্যানারি মালিকদের কাছে তাদের বিগত বছরের কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এরপরও তার চামড়া কিনছেন। এবার বকেয়া টাকা না পেলে তারা দেউলিয়া হয়ে যাবেন।
মাগুরা বনিক সমিতির সভাপতি মুন্সি হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, নগদ টাকায় চামড়া কিনে বিক্রেতারা বাকিতে বিক্রি করায় ব্যবসায় মন্দাভাব চলছে। চামড়াশিল্পের বিকাশ ঘটাতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বিক্রেতাদের নগদ অর্থ সহায়তা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৮
এএটি