মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ শামস, টিসিএল-২ ও দাদ গার্মেন্টসের শ্রমিকদের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কারখানার শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, নতুন মজুরি কাঠামোতে বেতন বৈষম্যের বিষয়টি শ্রমিকরা বেশ কিছুদিন ধরে মালিক পক্ষকে জানিয়ে আসছে। তবে তাদের কথায় কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার মূল ফটকের সামনে স্থানীয় হেমায়েতপুর-ট্যানারি সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে শুরু হয়ে যায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পুলিশসহ ২০ শ্রমিক আহত হয়েছে।
এদিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় প্রায় তিনটি কারখানার সামনে স্থানীয় সড়কে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
ঢাকা-১ আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পরিচালক সানা সামিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
এছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
জিপি