ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

‘অটোমেটিক হলো ব্রিকস’ উৎপাদনকে শিল্প ঘোষণার সিদ্ধান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
‘অটোমেটিক হলো ব্রিকস’ উৎপাদনকে শিল্প ঘোষণার সিদ্ধান্ত

ঢাকা: জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ায় ‘অটোমেটিক হলো ব্রিকস’ (যে ইটের মাঝে ফাঁকা থাকে) উৎপাদনকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহি কমিটির (ইসিএনসিআইডি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব সরকার।

ব্যবসা করা নয়, শিল্প উদ্যোক্তাদের সহায়তা করাই সরকারের কাজ। এ নীতির ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। তাই শিল্পায়নের স্বার্থে উদ্যোক্তাদের যে কোনো ধরনের হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, কথায় নয়, কাজে ওয়ান স্টপ সেবা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার জমি কোনোভাবেই বিক্রি করা হবে না। শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, শিগগিরই চিনি শিল্প নীতিমালাও প্রণয়ন করা হবে। এ নীতিতে ‘র’ সুগার আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কাঠামো ঠিক করে দেওয়াসহ দেশীয় চিনি শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।  

তাই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে যে কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সবাইকে হুঁশিয়ার করেন তিনি।  

সভা সূত্রে জানা গেছে, আয়োজিত সভায় হস্ত ও কারু শিল্প নীতিমালা ২০১৫ বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ, এ শিল্পখাতে উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য রাজধানীর পূর্বাচলে হস্ত ও কারুপণ্য হোলসেল কেন্দ্র স্থাপন, বিসিক শিল্পনগরি প্রকল্পগুলোর খালি প্লটে দ্রুত শিল্প গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া এবং শিল্পনগরীভিত্তিক খালি প্লটের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে জাহাজ নির্মাণ শিল্পনীতি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

আয়োজিত এ সভায় দেশব্যাপী শিল্পায়ন প্রক্রিয়া জোরদার, সময় ও যুগোপযোগী জাহাজ নির্মাণ শিল্প নীতিমালা প্রণয়ন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত জমিতে যৌথ উদ্যোগে বা পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি) আওতায় শিল্পস্থাপন, বিসিকে ওয়ান স্টপ সেবা সেল স্থাপন, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সক্ষমতা যাচাই প্রকল্প বাস্তবায়ন, অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প নীতিমালা প্রণয়ন, অনগ্রসর এলাকায় শিল্প সম্প্রসারণ, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, শিল্পে দ্রুত ইউটিলিটি সংযোগ দেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো রহমাতুল মুনিম, শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম, পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য সাহিন আহমেদ চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব রৌনক জাহানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
জিসিজি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।