মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএসসি) এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরফ) যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ’র নিজস্ব কার্যালয়ে এই ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সালমান এফ রহমান বলেন, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখী করতে হবে। তবে সেটা পোশাককে বাদ দিয়ে নয়। পোশাকে আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছি। আরও উন্নতির সুযোগ আছে। পাশাপাশি অন্য খাতের রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, পোশাকের মতো সব রপ্তানি খাত সমান সুযোগ পাবে। অতীতে আমরা সেই সুযোগ দিইনি। এবার সে সুবিধা পাবে। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, আমাদের গার্মেন্টসের পণ্যের বহুমুখীকরণ হয়েছে। পাশাপাশি গার্মেন্টস পণ্যের বাজারেরও বহুমুখীকরণ হয়েছে। আগে আমরা আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি করতাম। এখন বিশ্বের অনেক দেশে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে।
তবে শিল্পের এক খাত থেকে যখন আমরা অন্য খাতে যাচ্ছি, তখনই আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব দেখা দেয়- উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের শ্রমিক সংকট না হলেও ম্যানেজারের সংকট হয়। সেই অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা বাইরে থেকে ম্যানেজার আনি। আশা করি, ভবিষ্যতে এ সংকট থাকবে না।
সালমান এফ রহমান এও বলেন, আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন ইজ অব ডুইং বিজনেসের র্যাংকিং ঘোষণা করবে, আশা করছি বাংলাদেশের র্যাংকিং ডাবল ডিজিটে থাকবে। যদি আমাদের আশা পূর্ণ হয়, তাহলে এটি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), বেপজা ও হাইটেক পার্ক- এসব জায়গায় যারা বিনিয়োগ করবে, তারা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সুবিধা পাবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষক বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। নতুন উদ্যোক্তাদের ৬৪ জেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উদ্যোক্তাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘চাকরি চাই না, চাকরি দিতে চাই’।
সহজে ব্যবসা করার সূচকে উন্নতি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, দেশে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে।
ওয়ার্কশপে ইআরএফ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই আসে একটি মাত্র খাত পোশাক শিল্প থেকে। আমরা মনে করি- কেবল একটি পণ্যের ওপর এভাবে নির্ভরশীল হয়ে একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। আমাদের পণ্য বহুমুখীকরণে বাধা কোথায়? সেটি নিশ্চয় সরকারের নীতি নির্ধারকরদের অজানা নয়। তবে আমরা মনে করি- ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহজীকরণের প্রতি আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ